হরতাল প্রত্যাহার করলে আলোচনা : তোফায়েল
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় নেতার শুক্রবারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘যখনই একটা সংলাপের সম্ভাবনা দেখা দেয় তখনই বিরোধীদলীয় নেতা আল্টিমেটাম দিয়ে, হরতালের কর্মসূচি দিয়ে আলোচনার পথ বন্ধ করে দেন।’
তিনি বলেন, ‘মে মাসের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় বসার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ মে বিরোধীদলীয় নেতা আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। এবারও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি সংবিধান অনুসারে একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বলেছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে আলোচনায় বসলে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরাসনের পথ সুগম হতো। তা না করে তিনি একটি অবাস্তব প্রস্তাব দিলেন।’
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৫৭ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। সংবিধানের কোথাও নাই নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। সংবিধানিকভাবে গঠিত সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে বিরোধীদলীয় নেতা কাকে ক্ষমতায় আনতে চায়?’
বিরোধীদলীয় নেতা ২০ তারিখের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন সংবিধান সামান্য একটু সংশোধন করতে হবে। তিনি বলেছেন শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবেন না। কেন যাবেন না- তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, এ জন্য? যুদ্ধাপরাধের বিচার করছে সে জন্য? ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ ২১ বার হত্যার চেষ্টা করে তাকে হত্যা করা যায়নি বলে?’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বিরোধীদলীয় নেতা কলুষিত করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শিখা চিরন্তরের চেতনা ও এই উদ্যানকে তিনি কলঙ্কিত করেছেন।’
এর আগে তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, পররাষ্ট্র সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন, ইকবালুর রহীম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্ পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা প্রমুখ।
(দিরিপোর্ট২৪/আমান/আইজেকে/এমডি/অক্টোবর ২৬, ২০১৩)