কারাগার থেকে পালানোর অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি মুরসি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মিশরের সরকারি আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ২০১১ সালে দেশটিতে বিপ্লবের সময় কারাগার থেকে পালানোর অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এর ফলে সাবেক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা আরও দীর্ঘ হলো। খবর আলজাজিরার।
মুরসি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের অপর এক শীর্ষ নেতাসহ প্রায় ১৩০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তারা ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহ’র সঙ্গে মিলে কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।
তদন্তকারী বিচারক হাসান সামির বলেন, ‘অভিযুক্তদের মধ্যে উভয় সংগঠনের কর্মী রয়েছে।’
মুরসি প্রেসিডেন্ট থাকাকালেই এ বছরের শুরুর দিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়। এক বিবৃতিতে সামির জানিয়েছেন, হামাস ও হিজবুল্লাহর সদস্যরা সিনাই উপদ্বীপ হয়ে মিশরে প্রবেশ করে।
২০১১ সালে ১৮ দিন স্থায়ী ওই বিপ্লবের সময় প্রায় ২০ হাজার বন্দি কারাগার ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। এ সময় ১৩ জন কারাবন্দী নিহত হয়।
এদিকে, গত সপ্তাহের শুরুর দিকে মুরসির বিরুদ্ধে হামাস ও হিজবুল্লাহর হয়ে মিশরে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওই মামলার চার্জশিটে বলা হয়, মুরসি মিশরের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র’ করেছে।
মুরসিকে উৎখাতের পর মুসলিম ব্রাদারহুডের বহু কর্মী-সমর্থকই এখন কারাগারে আছে।
ব্রাদারহুডের কর্মকর্তারা ষড়যন্ত্রের এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এগুলোকে ‘অবাস্তব’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
(দ্য রিপোর্ট/আদসি/এসকে/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)