দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অবরোধে দূরপাল্লার বিআরটিসির (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন) বাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

মন্ত্রী বিআরটিসি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, `সরকার আপনাকে নির্দেশ দিয়েছে, আপনি আজ থেকেই গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করেন। সব লং রোডেই বিআরটিসি’র গাড়ি চালাতে হবে।’

এ সময় নৌ-পরিবহন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘বেশির ভাগ জেলায় লোকাল বাস চলছে। কিন্তু সে তুলনায় দূরপাল্লার বাস চলাচল পুরোপুরি সচল হয়নি। তবে অচিরেই বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ হরতাল-অবরোধে প্রতিদিন পরিবহন খাতে ৩০০ কোটি ক্ষতি হয় দাবি করে বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল থাকলে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক দেশ চলবে কী করে? গাড়ি চলাচল সচল রাখতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে শ্রমিক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় গাড়ি বের করুন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। আমরা সাধ্যমতো সর্বোচ্চ শক্তি সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করব নিরাপত্তা দেয়ার জন্য।’

সমন্বয় সভায় গাড়ি চলাচল মনিটরিং করার জন্য হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার কথা জানানো হয়।

সমন্বয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এবিএম ইকবাল, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান আলী ও বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রমেশ চন্দ্র ঘোষসহ পরিবহন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

উল্লেখ্য, বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভায় মন্ত্রী শাজাহান খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন অবরোধ থাকলেও শুক্রবার থেকে দেশের সকল রুটে দূরপাল্লার গণপরিবহন সচল রাখা হবে। আর এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/ডব্লিউএস/এমডি/লতিফ/ডিসেম্বর ২২, ২০১৩)