জাতি হরতাল প্রত্যাশা করে না : হানিফ
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক জরুরি বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘শুক্রবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া আজকের মধ্যে আলোচনা শুরুর আল্টিমেটাম দিয়েছেন। সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী দুপুর সোয়া একটায় তাকে ফোন করেছেন। তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর জাতি আর আপনাদের কাছে হরতাল প্রত্যাশা করে না।’
এ সময় হানিফ বিরোধী দলের প্রতি আহবান জানান, সংলাপ চাইলে বিরোধী দলকে হরতাল প্রত্যাহার করতে। এ ছাড়া ‘দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি’ বিরোধীদলীয় নেতার এমন মিথ্যাচারের ধিক্কারও দেন তিনি।
বর্ধিত সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা সংবিধানের মধ্যে থেকে আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পথে যেতে চাই। এর আগে আপনি (খালেদা জিয়া) সংলাপের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। এখনো আলোচনার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শান্তি চাইলে আলোচনা ও শান্তির পথে আসুন।’
দলের অন্যতম যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, ‘জিয়ার সৈনিকদের পাওয়া গেল না। পাওয়া গেল জামায়াত-শিবির। সে-দিন বেশি দূরে নয়, যে-দিন বিএনপি জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে আল্টিমেটাম দিয়েছেন তা মানুষের অধিকারের জন্য নয়। নিজের আর পুত্র তারেকের মামলা থেকে রেহাই পাবার জন্য।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে নানক বলেন, ‘একদিকে আলোচনার কথা বলবেন, অপদিকে নৈরাজ্য চালাবেন, তা হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর কর্মীদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গলে পালাবার পথ পাবেন না।’
সভায় আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘রবিবার হরতালে নাশকতা হলে এর দায়ভার বিরোধী দলের নেতাদের নিতে হবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাদেক হোসেন খোকাসহ বিএনপি নেতাদের হুকুমের আসামি করা হবে।’
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, আওলাদ হোসেন, শাহে আলম মুরাদ, শহিদুল ইসলাম মিলন, জামালউদ্দিন প্রমুখ।
(দিরিপোর্ট২৪//আইজেকে/এমডি/অক্টোবর ২৬, ২০১৩)