দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সামাজিক নিরাপত্তায় যুক্ত হচ্ছে বয়স্ক নাগরিকদের কল্যাণ কর্মসূচি।

রাজাধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে রবিবার এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে প্রধান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিইডি’র বিভাগীয় প্রধান মো. জবিহ উল্লাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিং (এসএএনইএম) এর চেয়ারম্যান ড. বজলুল হক খন্দকার।

কর্মশালায় বয়স্কদের কিভাবে আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে বয়স্কদের কল্যাণে জিইডি’র পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জানানো হয়, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭ শতাংশই সিনিয়র সিটিজেন বা বয়স্ক নাগরিক। এই হিসাবে ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে বয়স্ক জনসংখ্যা ১ কোটি ১২ লাখ। পুরুষদের বয়স নির্ধারণ করা হয় ৬৬ বছর এবং মহিলাদের ৬২ বছর।

এই বয়স্ক জনসমষ্টির মেধা, দক্ষতা ও প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়েও কর্মশালায় আলোচন করা হয়।

জিইডির প্রস্তাবগুলো হচ্ছে, অসচ্ছল গরিব বয়স্করা বর্তমানে প্রতিমাসে ৩০০ টাকা পায় সেটি বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা। যোগাযোগ ও বিনোদন ব্যবস্থা উন্নতির জন্য প্রস্তাব করা হয়। পাবলিক পরিবহনে বয়স্কদের জন্য কম খরচে যাতায়াত ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে কমপক্ষে অন্যান্য যাত্রীদের থেকে ২৫ ভাগ ভাড়া কম রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া সড়ক, রেল ও নৌ পথে বয়স্কদের জন্য এই সুযোগ সুবিধা চালু করার প্রস্তাব করা হয়। সিনেমা, থিয়েটার ও খেলাধুলার ক্ষেত্রে বয়স্কদের জন্য বাড়তি সুবিধা দেওয়া এবং বয়স্কদের যাতে করে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বল্পসুদে ঋণ দেয় সেটি নিশ্চিত করা।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এসবি/নূরুল/ডিসেম্বর ২২, ২০১৩)