জিতু আহসান। আগাগোড়া অভিনয়ের মানুষ। এটিএন বাংলায় শনিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে তার অভিনীত ও সৈয়দ আওলাদ পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘কেবলই স্বপন করেছি বপন।’ নাটক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে দ্য রিপোর্টের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

দ্য রিপোর্ট : খ্যাতিমান অভিনেতা খালেদ খান সম্পর্কে স্মৃতির পাতা থেকে কিছু বলুন?

জিতু : ১৯৯৮ সালের কথা। আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমরা একবার মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ করলাম। আতাউর রহমানের নির্দেশনায় এতে ‘বিশু’চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। নাটকটিতে বিশু গান গায়। কিন্তু আমার কণ্ঠ এতো সুরেলা নয়। সে সময় ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছিলেন যুবদা (খালেদ খান)। তার গাওয়া গানগুলোয় ঠোঁট মিলিয়েছিলাম আমি। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর এই কথাটাই বেশি মনে পড়ছে। তারপর প্রফেশন্যালি যখন মিডিয়ায় এলাম, যুবদার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক নাটকে অভিনয় করেছি।

দ্য রিপোর্ট : আপনার বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাই।

জিতু : ধারাবাহিক নাটকেই বেশি অভিনয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে সৈয়দ আওলাদ, বদরুল আনাম সৌদ, রায়হান খানের ধারাবাহিকের কাজ চলছে।

দ্য রিপোর্ট : চলচ্চিত্র নিয়ে কোনো ভাবনা আছে?

জিতু : অনেকবারই অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রকারও বলেছেন। আবার সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্রেও অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু কারো সঙ্গেই ফাইন টিউনিং হয়নি। তবে করবো না একথা বলছি না। অবশ্যই চলচ্চিত্রে অভিনয় করবো।

দ্য রিপোর্ট : রাজনৈতিক অস্থিরতায় শুটিংয়ে যাচ্ছেন কীভাবে?

জিতু : যেতে তো হবেই। কাজের চাপ বেশি। যে কাজ দুইদিনে করতে হয়, সেটা একদিনেই করছি। অনেক পরিকল্পনাও পরিবর্তিত হচ্ছে। তবে কয়েকদিনের জন্য এই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হচ্ছে। একসময় থামতে হবেই।

দ্য রিপোর্ট : দেশ নিয়ে কী ভাবছেন?

জিতু : আমার ৫ বছরের মেয়ে আদিবা যেন স্বাভাবিকভাবে বাইরে যেতে পারে, আবার স্বাভাবিকভাবেই ঘরে ফিরতে পারে। তাকে নিয়ে যেন আমার কোন দুঃস্বপ্ন দেখতে না হয়। আদিবা যেন হেসে খেলে চলতে পারে। সবার ছেলেমেয়েই যেন এমনটি পারে। এটাই আমার দেশ নিয়ে ভাবনা।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/নূরুল/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)