দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ভূমি অধিগ্রহণ চেক জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাত ও তা বিদেশে পাচারের অভিযোগে মেসার্স সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিকসহ দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে রবিবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়।

শিগগির মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে বলে দ্য রিপোর্টকে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- শাওন কুমার দান এবং মেসার্স সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মো. সেলিম রেজা।

দুদক সূত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক না হওয়া স্বত্তেও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখার ভূমি অধিগ্রহণের চেক জালিয়াতির মাধ্যমে মোট ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ৮১২ টাকা আত্মসাত করেন। পরবর্তীতে ওই অর্থ বিদেশে পাচার করেন। তদন্তকালে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ এর ৪(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারাসহ দন্ডবিধির ৪১৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক)/১০৯ ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে।

এ ছাড়া চার জন আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন- যমুনা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এ.ভি.পি. মো. মমতাজউদ্দিন চৌধুরী, দিলকুশা শাখার এফ.এ.ভি.পি মো. সাহিদ হোসেন, ব্যাংক এশিয়ার করপোরেট শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. তৌফিক মোরশেদ হাসান এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পাসপোর্ট শাখার অফিস সহকারি মো. আব্দুর রউফ।

দুদক জানায়, ওই চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন তথ্য-প্রমাণ না থাকায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ মামলাটির তদন্ত করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এসবি/ডিসেম্বর ২২, ২০১৩)