দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় পরিবেশ নীতি-২০১৩’র খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রবিবার দুপুরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এক জাতীয় কর্মশালায় এ খসড়া নীতি প্রকাশ করা হয়।

১৯৯২ সালের পরিবেশ আইনকে কাঠামোগতভিত্তি করে এবারের পরিবেশ নীতির খসড়া করা হয়েছে। খসড়া নীতির মধ্যে মোট ২৩টি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হল : ভূমি, পানি সম্পদ, বায়ু, খাদ্য ও সুপেয় পানি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য বিধান, আবাসন-গৃহায়ন ও নগরায়ন, শিক্ষা ও গণ-সচেতনতা, বন, জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা সংরক্ষণ এবং জীবনিরাপত্তা, পাহাড়ী প্রতিবেশ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক প্রতিবেশ, শিল্প, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, যোগাযোগ ও পরিবহন, প্রতিবেশবান্ধব পর্যটন, জনসংখ্যা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান গবেষণা-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

এ ছাড়া পরিবেশের শব্দ ও অনুকম্পন, তেজক্রিয়বিকিরণ, তাপীয়, আলোক ও গৃহ অভ্যন্তরীণ দূষণ ওই নীতিমালায় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়টি নতুন এই নীতিমালায় যুক্ত করা হয়েছে।

কর্মশালায় জানানো হয়, ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি নতুন এই পরিবেশ নীতির খসড়া প্রণয়ন করে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক গোলাম রব্বানী। পরিবেশ নীতি উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণা পরিচালক ড. সুলতান আহমেদ।

শফিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, সুস্থ জীবনের জন্য সুস্থ পরিবেশ অপরিহার্য। এ লক্ষ্যই এবারের পরিবেশ নীতির খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা চাই একটি সুন্দর ও অর্থবহ পরিবেশ নীতি প্রণয়ন করতে। এ থেকে পরিলক্ষিত হয় যে আমরা জলবায়ু মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ নীতির খসড়া উপস্থাপনের পর মুক্ত মত প্রকাশ করেন পরিবেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচএস/এসবি/ডিসেম্বর ২২, ২০১৩)