মহাকাব্যিক টেস্টে ড্র দ. আফ্রিকার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : টেস্ট ইতিহাসে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে সবচেয়ে বেশি ৪৫৮ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল ভারত। পঞ্চম ও শেষ দিনে ডু প্লেসিস ও ভিলিয়ার্স সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারেননি দলকে।
জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থাকতেই শেষ হয়েছে মহাকাব্যিক এই টেস্ট। তাই ড্রয়ের মধ্যদিয়েই ইতি হয়েছে ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামের ‘ওয়ান্ডারফুল’ ম্যাচটি।
আগের দিন ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সাজঘরে ফিরেছিলেন গ্রায়েম স্মিথ (৪৪) ও হাসিম আমলা (৪)। রেকর্ড গড়ার ম্যাচে পঞ্চম ও শেষ দিনে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
ব্যক্তিগত ৭৪ রানে আলভারো পিটারসনকে ক্যাচ আউট করেছেন মোহাম্মদ সামি। আর অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসকে এলবিডব্লুউর ফাঁদে ফেলেছেন জহির খান। ক্যালিসকে আউট করার মধ্যদিয়ে বাঁহাতি এ পেসার টেস্টে তুলে নিয়েছেন ৩০০ উইকেট।
১৯৭ রানে ৪ উইকেটে হারানোর পর কিছুটা ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পঞ্চম উইকেট জুটিতে সব হিসেব-নিকেশ পাল্টে দিয়েছেন ডু প্লেসিস ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ২ জনই। সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ২০৫ রানের জুটি গড়ে নতুন বিশ্ব রেকর্ড করেছেন তারা। সব হলেও আপেক্ষ থেকে যাবে তাদের; কারণ অল্পের জন্য কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি দল।
প্লেসিস যখন সাজঘরে ফিরেছেন তখন তার নামের পাশে যোগ হয়েছে ১৩৪ রান। আর ১০৩ রান করার পর ইশান্ত শর্মার বলে আউট হয়েছেন ভিলিয়ার্স। তাদের আউট হওয়ার পরই বোঝা যাচ্ছিল ম্যাচের ভাগ্য। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। ড্রয়েই সমাপ্তি হয়েছে রেকর্ড ভাঙার ম্যাচটি। ৭ উইকেটে ৪৫০ রানে থেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস : ২৪৪; দ্বিতীয় ইনিংস: ৪৫০/৭
ভারত প্রথম ইনিংস : ২৮০; দ্বিতীয় ইনিংস: ৪২১
ফল : ড্র
ম্যাচ সেরা : বিরাট কোহলি (ভারত)
(দ্য রিপোর্ট/সিজি/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)