দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বোমা হামলার অভিযোগে ‘বোমারু’ ইকবাল হোসেন রানা ও তার ৬ সহযোগীকে ৮ কেজি বিস্ফোরকসহ আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

রবিবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও থানার পূর্ব গোরানের একটি বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন ইকবাল, মনির, বাবু, সোহেল, রিপন, মানিক ও রুবেল। এরা সবাই বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র ও যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম জানান, রানা একজন দুর্ধর্ষ বোমা সন্ত্রাসী। তিনি শিবিরের বোমা প্রশিক্ষকের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে এ কাজ করে আসছেন।

রানা ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বলেও জনান তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদে রানা জানায়, সে এ কাজ করে রমনা থানার এক ছাত্রদল নেতার নির্দেশে।

এছাড়া তার সহযোগীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সাম্প্রতিক চলা ১৮ দলের হরতাল-অবরোধে বোমা বানানো থেকে শুরু করে নিক্ষেপের কাজও এই চক্র করে থাকে। এজন্য তারা আলাদা আলাদাভাবে দায়িত্ব পালন করে। এসব কাজ করে তারা অর্থের বিনিময়ে।

এই চক্রের মনির হকার ব্যবসা এবং বাবু পানির ব্যবসার আড়ালে বিস্ফোরক দ্রব্য আনা এবং বোমা বানানোর কাজ করে। অপরদিকে ফ্রুটো সোহেল ফ্রুটোর বোতলে বিশেষ কায়দায় পেট্রোল বোমা বানানোতে পারদর্শী। রিক্সাওয়ালা রিপন বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও বোমা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি অতি গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন করত। এই চক্রের মানিক ও রুবেল বোমা নিক্ষেপে বিশেষ পারদর্শী বলে তারা দুজনে এই কাজটি করত।

১৫ দিন আগে গোয়েন্দা পুলিশ খবর পান যে, তারা ৫০ কেজি বিস্ফোরক এনে বোমা বানানোর কাজ করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চক্রটিকে ধরা হয়। এরই মধ্যে ৪২ কেজি বিস্ফোরক তারা ব্যবহার করেছে। বাকী ৮ কেজি গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার করতে পেরেছে।

মনিরুল ইসলাম আরো জানান, উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে ১৫০০ মাঝারি মানের বোমা বানানো সম্ভব।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। মূল হোতাসহ আসামিদের গ্রেফতার অভিযান চলছে বলে ব্রিফিং এ জানানো হয়। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে মূল হোতার নাম প্রকাশ করা হয়নি।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচএ/এআইএম/ এমডি/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)