দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গণজাগরণ মঞ্চ থেকে উত্থাপিত ‘পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার’ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে সোমবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এ একাত্মতার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা গণজাগরণ মঞ্চের ওই দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। মঞ্চের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে।’

একই সঙ্গে তিনি গণজাগরণ মঞ্চের পাকিস্তানের সকল পণ্য বর্জন করার দাবির সঙ্গেও একাত্মতা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হেলাল মোর্শেদ, হারুন-অর রশিদ, কবির খানসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৭ ডিসেম্বর গঠিত এই সংগঠনটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক দাবি করে শাজাহান খান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করার লক্ষ্যেই এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ। এর কার্যক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ওপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।’

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে গত ১২ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ ঘটনার পর গত ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পার্লামেন্ট একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে। যাতে পাকিস্তানের এই একনিষ্ঠ সমর্থকের ফাঁসিতে উদ্বেগ জানানো হয়।

মন্ত্রী শাজাহান খান কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। সেই সঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের নাক গলানো বন্ধের আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের এ ধরনের তৎপরতা ও জামায়াত-শিবিরের চলমান সহিংসতার প্রতিরোধে মঞ্চের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সকল বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে মতবিনিময়। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের মহাসমাবেশ এবং ৩১ ডিসেম্বর সকল জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের কমিটি গঠন করা হবে।

শাজাহান খান দাবি করেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় জামায়াত-শিবির সারাদেশে মহাতাণ্ডব করছে। সঙ্গে মদদ দিচ্ছে বিএনপি। এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অরাজনৈতিক এই সংগঠনের কর্মসূচিতে মন্ত্রী কেন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ ব্যবহার করেন এটা নিয়ে গণমাধ্যমসহ সচিবালয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এমসি/শাহ/এমডি/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)