ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিএনপি-পুলিশ ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপিকর্মীরা স্থানীয় অগ্রণী ব্যাংক ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড গুলি ও পাঁচ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৮ আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে শৈলকুপার কবিরপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান খান দিপুর নেতৃত্বে শহরে একটি মিছিল বের করা হয়। পুলিশ শৈলকুপা-ঝিনাইদহ সড়কের কবিরপুর মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পুলিশের এসআই আজিজ, কনস্টেবল রুবেল, ছবেদ আলী, তোতা মিয়াসহ ১৮ জন আহত হন। এ সময় বিএনপির সমর্থকরা অগ্রণী ব্যাংক কবিরপুর শাখায় ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড শটগানের গুলি ও পাঁচ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে। এ ঘটনার পর শৈলকুপায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান খান দিপু অভিযোগ করে দ্য রিপোর্টকে বলেন, সকাল ৮টার দিকে অবরোধের সমর্থনে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি শৈলকুপা-ঝিনাইদহ সড়কের কবিরপুর মোড়ে এলে পুলিশ বিনা উস্কানিতেই হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।

শৈলকুপা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন দ্য রিপোর্টকে জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দোকানপাট ভাঙচুর শুরু করলে সংঘর্ষ বাধে।

এদিকে সোমবার সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় টায়ার জ্বালিয়ে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করেছে জামায়াত-শিবির। উপজেলার জিন্নাহনগর-দত্তনগর সড়কের নেপার মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/টিএম/শাহ/এএস/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)