দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হয়, তা দেখার জন্য মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার সচিবালয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে তিনি সড়ক বিভাগের লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা তাদের নিজস্ব চিন্তা।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের ১০দিন বাকি থাকতে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ বা আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই। এ বাস্তবতাকে যত অপ্রীতিকর ও নিষ্ঠুর বলি না কেন, এ মুহূর্তে সংবিধানসম্মত বা বাস্তবসম্মত কোন বিকল্প পথ আমাদের সামনে খোলা নেই। তাই নির্বাচন কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা জানতে আমাদের মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

বিশ্ব রাজনীতির নানা ‘কারেন্টস অ্যান্ড ক্রস কারেন্টস’ কখন, কোথায় গিয়ে ঠেকবে, এটা এ মুহূর্তে ধারণা করা কঠিন। আজ যিনি আপনার বন্ধু নন, কাল সে আপনার পরম বন্ধু হয়ে যেতে পারেন।

দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়ে নির্বাচন করা কতটা জরুরি, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বানে সাড়া দিলে পরিস্থিতি হয়ত ভিন্নতর হতো। কিন্তু তা হয়নি। বিরোধী দল নির্বাচনে না আসায় আমরা তো দেশকে শূন্যতার দিকে ঠেলে দিতে পারি না। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা আমাদের রক্ষা করতেই হবে। তারা (বিএনপি) এলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা হয়ত প্রশ্নাতীত থাকত।

বিরোধী দল আন্দোলন ঘোষণা করছে আর উগ্রবাদীরা তা বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, চারটি অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে তারা। একটিতেও ২ হাজার মানুষের সমাগমও ঘটাতে পারেনি। বিরোধী দলের কর্মসূচিতে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

‘গলফ এরশাদকে সুস্থ করতে ওষুধের মতো কাজ করবে’

এরশাদকে অসুস্থ বলা হলেও তাকে কেউ কেউ গলফ খেলতে দেখেছেন, তবে তিনি কেমন অসুস্থ- জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, শরীরের ভালোর জন্য অসুস্থ রোগীকে হাঁটার সুযোগ দেওয়া হয়। এটা তাকে শারীরিকভাবে চাঙ্গা করে। এরশাদ সাহেব গলফ খেলায় অভ্যস্ত। এটা হয়তো তাকে সুস্থ করার জন্য ওষুধের মতো কাজ করবে।

এরশাদ আটক নন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আটক বলা হয়নি। আমি কেন বলব। তবে সিএমএইচের পরিবেশ অনেক নিয়ন্ত্রিত। সেখানে রোগীকে দেখতে যেতে সবার প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত নয়।

জাতীয় পার্টির সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের অনেকে এখনো মন্ত্রী পদে আছেন। অফিসে আসছেন না কিন্তু বাসায় বসে ফাইলে সই করছেন। অনেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এরশাদ সাহেব বাসায় ফিরলে হয়ত সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ কথা জানতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, চুন্নু সাহেব (মুজিবুল হক চুন্নু) রওশন এরশাদের নেতৃত্বে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার বিষয়টি স্পষ্ট করেননি। এ বিষয়ে যে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে, তা ৫ জানুয়ারির মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/শাহ/এমডি/ ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)