দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অবসরপ্রাপ্ত বিচারক আবদুল মতিনের অপারগতায় নতুন নির্বাচন কমিশনার মনোনায়ন দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী পরিচালনা পর্ষদের ট্রেকহোল্ডার নির্বাচনের লক্ষ্যে অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এম শামসুল হককে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনে অপারগতার বিষয়টি আবদুল মতিন ডিএসইকে লিখিতভাবে জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে ওই পদে শামসুল হককে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই।

গত ১৯ ডিসেম্বর পরিচালনা পর্ষদের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে ডিএসই কর্তৃপক্ষ দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন।


এ বিষয়ে ডিএসইর সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বিচারক আবদুল মতিন শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তিনি নির্বাচন কমিশনারের পদে থাকতে চাচ্ছে না। তিনি আমাদের এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। ফলে ওই পদে অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এম শামসুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত ডিএসইর বোর্ড সভায় তিন সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। ওই সভায় অবসারপ্রাপ্ত জেলা জজ আবদুল মতিনকে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া ডিএসইর ট্রেকহোল্ডরদের মধ্যে ‘দিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান সেলিম ও ‘মার্চেন্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিনকে নির্বাচন কমিশনে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর নিজেদের মধ্যে বৈঠক শেষে এই কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আবদুল মতিন। ফলে সে দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। এ নতুন করে অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এম শামসুল হককে ওই পদে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই।


এদিকে গঠিত কমিশন ডিএসইর নির্বাচন সংক্রান্ত চূড়ান্ত নীতিমালা তৈরি করবে। ইতোমধ্যে ডিএসই একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। পরে তা নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া হবে। কমিশন খসড়া নীতিমালা যাচাই বাছাই করে তার সংশোধনী দেবে। পরবর্তীতে তা ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। পরে কমিশন নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করবে এবং অনুমোদিত নীতিমালা অনুসারে ডিএসইর নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।


নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবে। তবে তার আগে নির্বাচনের নীতিমালা তৈরি করতে হবে। নীতিমালা ঠিক না করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে না। কমিশনের পক্ষ থেকে খসড়া নীতিমালা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনের পর নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করা হবে। আর নীতিমালা অনুমোদনের পরের দিন থেকে ন্যূনতম ২১ দিনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সে অনুযায়ী আগামী জানুয়ারিরর মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতে বলা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এইচকে/নূরুল/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)