সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে: নাসিম
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের সময় বিভিন্ন নির্বাচনে যারা সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়েছিলেন তারা আজ বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন।’
ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার বিকেলে ঢাকাসহ পাশের সাত জেলার নেতাদের সঙ্গে ১৪ দল নেতাদের মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘অতীতের সকল সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সিভিল প্রশাসনকে তারা সহায়তা করেছে। সাংবিধানিকভাবে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আজ সেনাবাহিনী যখন শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপালন করতে যাচ্ছে, তখন বিরোধী দল এ ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, এর আগে বিরোধী দল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার আবদার করেছিল। কিন্তু সেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য বিরোধী দলের নেতারা এখন বিভিন্নভাবে কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই, লক্ষ একটাই। তারা সাংবিধানিক ধারাকে নষ্ট করতে চায়। কষ্টে অর্জিত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়।
নাসিম বলেন, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে নিন্দা প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে তারা কার অঙ্গুলি নির্দেশে, কার পৃষ্ঠপোষকতায় এসব করছে। যারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে তাদের চেহারা আজ উন্মোচন হয়ে গেছে। আবারো প্রমাণ হয়ে গেছে পাকিস্তানি জামায়াত বাংলাদেশি জামায়াত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এর প্রতিবাদে সারাদেশের জনগণ যখন প্রতিবাদ করছে তখন খালেদা জিয়া ও তার দল একটি কথাও বলেননি। তাদের নীরবতাই প্রমাণ করেছে তাদের আশা, বাংলাদেশে আবারও পাকিস্তান পুনঃপ্র্র্রতিষ্ঠিত হোক।
এ সময় তিনি আগামীকালের সমাবেশ সফল করার জন্য রাজধানীবাসী ও ৭টি জেলার নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
নাসিম বলেন, নির্বাচন ছাড়া দেশ চলতে পারে না। এ কারণেই আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দু’একটি দল না এলে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। নির্বাচনে সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে দেশবাসীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান তিনি।
বিরোধী দল নির্বাচন বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে নাসিম বলেন, নির্বাচন ছাড়া দেশ চলতে পারে না। নির্বাচন বন্ধ করা সম্ভব নয়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় যথাসময়ে নির্বাচন করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, ন্যাপের যুগ্ম-মহাসচিব ইসমাঈল হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এসবি/নূরুল/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)