দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চিনি আমদানীর নামে ১৫০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি জাহিদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সোমবার এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ওই নোটিশ পাঠান। নোটিশে জাহিদ হোসেনকে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানির নামে ২০১১ সালে সাত কোটি ৪২ লাখ টাকার এফডিআরের বিপরীতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখায় ১৫০ কোটি টাকার দুটি এলসি খোলে পারটেক্স সুগার মিলস লিমিটেড। এলসির বিপরীতে ৩০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি আমদানি করলেও তা বিক্রি করে কোনো টাকা ব্যাংকে জমা করা হয়নি। এতে সৃষ্ট পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট (পিএডি) শ্রেণিভুক্ত করে এফডিআর সমন্বয় করার পরও পারটেক্স সুগার মিলসের কাছে সোনালী ব্যাংকের পাওনা দাঁড়ায় ১৩৬ কোটি টাকা। এর আগেই পারটেক্স গ্রুপের ২২ কোটি টাকা অনিয়মিত দায় ছিল। ঋণ অনাদায়ী অবস্থায় নতুন কোন এলসি খোলা নিয়মবহির্ভূত।

সূত্র আরও জানায়, ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ করপোরেট শাখার সাবেক ডিজিএম মেজবাহ উদ্দীন ও অন্যান্যের যোগসাজশে এ অর্থ লোপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা বেরিয়ে আসার পর দুদক তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।

দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঁইয়া নেতৃত্বে অনুসন্ধান টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলী, সহকারী পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান, সেলিনা আক্তার মনি, মোঃ নাজিমুচ্ছায়াদাত, উপ-সহকারী পরিচাক মজিবুর রহমান ও মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এসবি/নূরুল/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)