দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বে অন্যতম আলোচিত বিষয় । উন্নত বিশ্বের বল্গাহীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মাত্রাতিরিক্ত কার্বন ও গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২.৫ শতাংশের বাস বাংলাদেশে।

প্রতিবছর বৈশ্বিক কার্বন নির্গমণে বাংলাদেশ অবদান রাখে মাত্র ০.১ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। এমভিসির 'বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকিসূচক-২০১০' শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৬১-১৯৯০ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতিবছর তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬১-২০০০ পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়েছে প্রতিবছর গড়ে ০.৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াস । শেষ ১০ বছরে তাপমাত্রা বাড়ার হার গত ৪০ বছরের গড় তাপমাত্রা বাড়ার হারের প্রায় দুই গুণ। জলবায়ু বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়বে ০.৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ২০৫০ সালে বাড়বে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা বাড়বে ১ ডিগ্রি, ২০৫০ সালে সেটা বেড়ে হবে ২.৪। এর ফলে গড় উষ্ণতা বাড়বে, থাকবে না ঋতুবৈচিত্র্য। বেড়ে যাবে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। আইপিসিসি এর চতুর্থ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২১০০ সালে আমাদের সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ৮৬ সেন্টিমিটার বাড়বে। এর ফলে আমাদের উপকূলীয় বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাবে সমুদ্রের নোনা পানির তলে।
(দিরিপোর্ট২৪/এমডি/অক্টোবর ০৫, ২০১৩)