দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধার বিষয়টি উঠে এসেছে।

বৈঠক শেষে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতায় যেসব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শুধুমাত্র তারাই বিশেষ সুবিধা পাবেন। ব্যবসায়ীরা ঢালাওভাবে কোনও সুবিধা পাবেন না। ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ এবং বিলম্বে ঋণ খেলাপিসহ বর্তমান কাঠামো ও নীতিমালায় কোনও পরিবর্তন না এনেই ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, খেলাপি হতে যাচ্ছে এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পুনঃতফসিল এবং বিলম্বে ঋণ খেলাপির বিষয়ে ব্যাংকারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা যদি ব্যাংকের মাধ্যমে আসেন তবে তা বিবেচনা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ছাড়া অন্য কেউ বিশেষ সুবিধা পাবেন না।

কতদিনের জন্য ছাড় দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩ বা ৬ মাস হতে পারে। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

সভা শেষে এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, চলমান অস্থিরতায় পরিবহন, আবাসন ও পোশাক শিল্পসহ সব ক্ষেত্রেই যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা (ব্যাংকাররা) আমাদের সমস্যা তুলে ধরেছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দু’য়েকদিনের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে।

তিনি আরও বলেন, ঋণ পুন:শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের শর্ত শিথিল করার পরামর্শ দিয়েছি।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পোশাক খাতের রফতানি উন্নয়ন তহবিলের সুদহার কমানো হয়েছে। এসএমই খাতের ঋণে ডাউনপেমেন্ট ছাড়া পুনঃতফসিলিকরণ, অশ্রেণীকৃত ঋণ (স্ট্যান্ডার্ড ও এসএমএ) পুর্নগঠনের মেয়াদকাল যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ, প্রয়োজনে ঋণ ব্লক হিসাবে স্থানান্তর এবং সুদ হার নির্ধারণে নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/এইচকে/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)