দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিপুল দর্শক সমাগমের সঙ্গে পাহাড়ঘেরা সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম সাকিবে মেতে উঠেছে। তার উপস্থিতিই যেন বদলে দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছিল দলের ক্রিকেটাররাও। রবিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোহামেডানের কাছে হারা দলটি, সাকিবের ছোঁয়ায় জেগে ওঠেছে। বিজয় দিবস টোয়েন্টি২০ টুর্নামেন্টের প্রথম জয় পাওয়া ইউসবি বিসিবি একাদশকে হারিয়ে দিয়েছে সাকিবের দল। তাও খুব সহজেই। সাব্বির রহমান রুম্মনের অপরাজিত ৫০ রানে ৭ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক।

সাকিব বল হাতে চমক দেখাতে পারেননি। দেখিয়েছেন শাহাদাত হোসেন রাজিব (৩/২০) ও তাইজুল ইসলাম (২/৩০)। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইউসিবি ২০ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করেছে।

দলের পক্ষে মার্শাল আইয়ুব সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন। দ্বিতীয় সেরা রান এসেছে রনি তালুকদারের (৩৪) ব্যাট থেকে। নাঈম ইসলাম (৩২*) ৫৩ রানেই দলের ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হালনা ধরলে একশ রান করাটাই কঠিন ছিল ইউসিবির।

এ রানও যে খুব বেশি নয়; প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরা প্রমাণ করেছেন। দলের ৩২ রানে ২ উইকেট পড়েছিল সাকিবদের। তারপর সাব্বির রহমান রুম্মনের সঙ্গে সাকিব মিলে অসাধারণ ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন। সাকিব রুম্মনকে সুযোগ করে দিয়েছেন, রুম্মান সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন চার-ছক্কায়। সাকিব ধীর-স্থির ছিলেন না। ২ ছক্কা ও ১ চারে এক ওভারে নিয়েছেন ১৬ রান। একপর্যায়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দলীয় ১০৮ রানে সাকিব (৩৩) আউট হয়েছেন। জিততে তখন প্রাইম ব্যাংকের দরকার ছিল ৩৫ বলে ১৬ রান। ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে ম্যাচ জিতেছে প্রাইম ব্যাংক।

সাকিব ৫৭ দিন পর খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়েছেন। যা দেখে মাত্র অভিষেক হওয়া সিলেট স্টেডিয়ামও উৎফুল্ল হয়েছে!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইউসিবি : ১২৩/৮, ২০ ওভার (মার্শাল ৪০, রনি ৩৪, নাঈম ৩২*; শাহাদাত ৩/২০)

প্রাইম ব্যাংক : ১২৪/৩, ১৭.২ ওভার (রুম্মন ৫০*, সাকিব ৩৩, এনামুল ২৪; দেলোয়ার ২/২৭)

ফল : প্রাইম ব্যাংক ৭ উইকেটে জয়ী

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এসএ/সিজি/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)