ওবায়দুল চঞ্চল, দ্য রিপোর্ট : ফেডারেশনে না জানিয়ে দেশ ছেড়েছে নিষিদ্ধ হকি খেলোয়াড় জিমি ও রানা। জানা গেছে, তারা ওমান লিগে খেলছেন। অথচ তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশ ছাড়ার আগে সংশ্লিষ্ট পর্যায়ের যে অনুমতি-অনুমোদন প্রয়োজন তারা তা নেননি। বিষয়টি নিয়ে হকি অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জিমি ও রানার ওমান যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ।

চলতি বছর এশিয়া কাপ হকিতে ভরাডুরি হয়েছে বাংলাদেশ দলের। বিশেষ করে ওমানের কাছে ৪-২ গোলে হারে অনেককেই হতাশ। মালয়েশিয়ায় গত আগস্টে ওই ম্যাচে হারের পেছনে রাসেল মাহমুদ জিমি, কামরুজ্জামান রানা, জাহিদ হোসেন ও ইমরান হাসান পিন্টুর ইচ্ছাকৃত বাজে পারফরম্যান্সকে দায়ী করেছিলেন ফেডারেশন কর্মকর্তারা।

জাতীয় দল দেশে ফেরার পর এশিয়া কাপের ব্যর্থতার জন্য তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হয়েছিল খেলোয়াড়দের। ৪ খেলোয়াড়ের মধ্যে জিমি, জাহিদ ও পিন্টুকে ঘরোয়া হকি ও জাতীয় দল থেকে ৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রানার শাস্তির মেয়াদ ছিল ২ বছরের। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, ৪ দোষী খেলোয়াড়ের মধ্যে জিমি ও রানা এখন ওমানে। স্থানীয় লিগ খেলতে ১০ ডিসেম্বর গোপনে দেশ ছেড়েছেন ওই ২ খেলোয়াড়।

সোমবার বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লা বলেছেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত মোটেও ভুল ছিল না। ওরা ওমান খেলতে গিয়ে প্রমাণ করেছে আমাদের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল। ওরা দেশের চেয়েই টাকাকে বড় করেছে দেখেছে। জাতীয় স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থটাকে বড় করে দেখেছে।’

এক দেশের খেলোয়াড় অন্য দেশে খেলতে গেলে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের অনুমতির দরকার হয়। এটাই আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের নিয়ম। কিন্তু জিমি ও রানা অনুমতি ছাড়াই কিভাবে ওমান খেলতে গেল এটাও বোদধগম্য হচ্ছে না খোদ বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকেরও। ইতোমধ্যেই তিনি বিষয়টি আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন ও এশিয়ান হকি ফেডারেশনকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমারা যে কারণে খেলোয়াড়দের শাস্তি দিয়েছি। ঠিক সেই কারণেই ওমান তাদের পুরস্কৃত করেছে। এটা দিবালকের মতো পরিষ্কার। আমরা বিষয়টি আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন ও এশিয়ান হকি ফেডারেশনকে জানিয়েছি। এখন দেখি তারা কি করে।’ যোগ করেছেন, ‘ভবিষ্যতে অন্য খেলোয়াড়রা যাতে এ ধরনের কাজ না করতে পারে সে জন্য ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে আমরা দূতাবাসগুলোকে নিষিদ্ধ খেলোড়দের ব্যাপারে জানিয়ে রাখব। তাহলে এ ধরনের অপরাধ তারা আর করতে পারবে না।’

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/এএস/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)