চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানে আগুন, পুড়ে গেল সাত গরু
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : চট্টগ্রামে অবরোধের সমর্থনে গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদারবিবি হাট এলাকায় একটি ট্রাক ও একটি কাভার্ডভ্যানে পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। একই সময়ে ছোট দারোগার হাটেও একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয় পিকেটারা। ফৌজদারহাটে গরুবাহী ট্রাকে আগুন দিলে সাতটি গরু দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গোয়েন্দা) বাবুল আক্তার দ্য রিপোর্টকে জানান, পিকেটাররা গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে নগরীর ফৌজদারহাট এলাকায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি গরুবোঝাই ট্রাকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পিকেটাররা। এতে সাতটি গরু দগ্ধ হয়ে মারা যায়। ট্রাকের আগুন মুহূতেই ছড়িয়ে পড়ে পাশের ফার্নিচারের দোকানে। এতে পাঁচটি দোকান পুড়ে গেছে।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গোয়েন্দা) বাবুল আক্তার দ্য রিপোর্টকে জানান, যারা নির্বোধ প্রাণীকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে তারা মানুষের মধ্যেই পড়ে না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর আগে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে দুটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। এ ছাড়া কুমিরায় ১০-১২টি গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের পর পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে বলে তিনি জানান।
এদিকে নগরীর বায়েজিদ থানাধীন শেরশাহ এলাকার আশা হোটেল সংলগ্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় মো. রনি (২৪) নামে এক যুবককে বায়েজিদ থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বায়েজিদ থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই নিবেদিতা জানান, কয়েকজন যুবক শেরশাহ এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশা হোটেলের সামনে থেকে মো. রনিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রনি বায়েজিদ থানাধীন ধর্মপুর হাউজিং সোসাইটির চক্রেসু সংলগ্ন পার্থ মেম্বারের ভাড়াটে মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএইচ/এএস/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)