দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের পদের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার আইনজীবী ড. মোহাম্মদ ইউনূস আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। (রিট নম্বর-১২৪৩৪)।

রিটে জাতীয় সংসদের স্পিকার, আইন সচিব, সংসদ বিষয়ক সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

অবকাশকালীন বেঞ্চে রিটের শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির নিকট আবেদন করা হয়েছে।

রিটে বলা হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী জাতীয় সংসদের স্পিকার হবেন তিনশ’ আসন থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধির (সংসদ সদস্য) মধ্য থেকে। কিন্তু তিনি হলেন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ (আসন) থেকে নির্বাচিত।

রিট আবেদনে বলা হয় আইনের বিরোধিতা করে স্পিকার নিয়োগ দেওয়াকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং স্পিকারের বিষয়ে প্রকাশিত ৩০ এপ্রিল ২০১৩ তারিখের গেজেট কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না।

একই সঙ্গে রিটের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে তার দায়িত্ব পালন থেকে দূরে থাকবেন এবং ডেপুটি স্পিকার তার এই দায়িত্ব পালন করবেন সংক্রান্ত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী জানান, অ্যাডভোকেট ড. শিরীন শারমিনের স্পিকার পদে থাকা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ভঙ্গ। সুতরাং তার পদ বৈধ নয়। এটা আমাদের দেশের প্রথার বিপরীত এবং সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক।

সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় সংসদের স্পিকার হওয়ার জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।

গত ৩০ এপ্রিল তিনি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নেন। ওই দিন এক গেজেটের মাধ্যমে তাকে ওই পদে বহাল করা হয়।

কখন শুনানি হবে জানতে চাইলে- অবকাশকালীন যে সকল বেঞ্চ বসবেন সে আদালতে রিটের শুনানি হতে পারে বলে রিটকারী আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী জানান।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমডি/শাহ/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)