যশোর সংবাদদাতা : যশোর-নড়াইল সড়কের হামিদপুরে অবরোধের শেষদিন পিকেটারদের ওপর গুলি ও বোমা হামলা হয়েছে। এতে এক বিএনপি নেতাসহ দুজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টায় ১৮দলীয় জোট নেতাকর্মীরা যশোর-নড়াইল সড়কের হামিদপুর বাজারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছিলেন। এ সময় একদল সন্ত্রাসী অবরোধকারীদের ওপর চড়াও হয়। তারা অবরোধকারীদের লক্ষ্য করে অন্তত সাত রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও তিনটি হাতবোমা ছোড়ে। একটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হলে ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম ও ফরিদ নামে এক পথচারী আহত হন।

আহত রবিউল ইসলাম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আক্রমণকারী সন্ত্রাসীরা সরকারি দল-আশ্রিত। সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জানান, অবরোধকারীদের ওপর হামলাকারীরা এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী হিসেবে পরিচিত।

ঘটনার প্রতিবাদে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ নূরুন্নবী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আজমের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক হামিদপুর বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে যায়। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি হামিদপুর এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন।

এদিকে, অবরোধের সমর্থনে যশোর-বেনাপোল সড়কে অবস্থান নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করেছে ১৮দলীয় জোট। যশোর-মাগুরা সড়কের লেবুতলায় দুটি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়েছে। যশোর-খুলনা মহাসড়কের রূপদিয়া এলাকায় রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে ১৮দলীয় জোট নেতাকর্মীরা সকাল থেকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের চাঁচড়া এলাকায় অবরোধ সৃষ্টি করে মিছিল-সমাবেশ করে। স্পটে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও নগর বিএনপি সভাপতি মারুফুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাস্টার নূরুননবী প্রমুখ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন।

যশোর-মাগুরা মহাসড়কের লেবুতলায় দুটি ট্রাক ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। এ ছাড়া যশোর-নড়াইল সড়কের চাঁড়াভিটা, যশোর-মাগুরা সড়কের ভাটার আমতলা প্রভৃতি স্পটে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এএস/লতিফ/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)