কর্মসূচির পর খালেদাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নির্বাচনকালীন সরকারের বন ও পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজ (মঙ্গলবার) নাকি খালেদা জিয়া কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। এর আগে হরতাল-অবরোধ দিয়ে দুই মাস চুপ ছিলেন। এবার তিনি নতুন কর্মসূচি দিয়ে দুই বছরের জন্য চুপ থাকবেন। তাকে আর খুঁজেও পাওয়া যাবে না।
রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে ১৮ দলের ডাকা ৫ম দফা অবরোধের ৪র্থ দিনে এক প্রতিবাদ সভায় সোমবার তিনি বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলছেন খালেদা জিয়া। আগের হরতাল-অবরোধে জনগণ তো দূরের কথা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ত করতে পারেননি। তাই এখন নতুন কর্মসূচি দিবেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া তার নতুন কর্মসূচিতে আগের মতো জনগণকে তো সম্পৃক্ত করতে পারবেন না, তার নেতা-কর্মীদেরকেও মাঠে নামাতে পারবেন না। তার আন্দোলন দেশের মানুষ বরাবরের মতো প্রত্যাখান করবে।
নতুন কর্মসূচির সাথে খালেদা জিয়া নিজে রাস্তায় নামার প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরাও চাই আপনি রাস্তায় নামুন। নিজেই দেখুন আপনার আন্দোলন কিভাবে মানুষ প্রত্যাখান করে। দেখবেন জনগণ তো দূরের কথা আপনার (খালেদা জিয়া) পাশে নিজ দলের নেতা-কর্মীরাও নেই।
তিনি বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, খালেদা জিয়া নতুন কর্মসূচি দিবেন। শুনা যাচ্ছে তিনি গণ কারফিউ দিবেন। কারফিউ মানে রাস্তায় মানুষ নামলে গুলি করে মারা। খালেদা জিয়া কি মানুষ মারবেন? তাকে এই অধিকার কে দিয়েছে?
হরতাল-অবরোধ করে বিএনপি মানুষ হত্যা করছে অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের এ হত্যা ৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য। ৫ জানুয়ারির পরে সরকার গঠন করে তাদের এ মনবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা হবে।
ক্ষমতায় গেলে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির বিচার করা হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ৭১ এ মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে এখন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যেমন বিচার হচ্ছে। আগামীতে আমরা ক্ষমতায় আসলে হরতাল-অবরোধে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর দায়ে বিএনপি ও বর্তমান বিএনপি নেতাদের বিচার করা হবে।
বিএনপি সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ওয়াকওভার দেওয়ায় আমরা ১৫৪ সিটে জয়লাভ করেছি। তারা খেলার মাঠে (নির্বাচনে) আসেনি বিধায় আমরা জয়লাভ করেছি। এখন আবার সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে তারা।
বিএনপিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে প্রকাশ্য ক্ষমা চাইলে দশম জাতীয় সংসদে প্রস্তাব ও আলোচনার মাধ্যমে একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য সমঝোতা করবো। প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আমরাও চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচনে অংশ নিতে। তবে সেটা দশম নয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে না আসলে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির অবস্থা হবে বিএনপির। তখন ব্র্যাকেটে বন্দি হবে তারা। বিএনপি (তারেক জিয়া), বিএনপি (মওদুদ) এমন নাম হবে তাদের বলেও মন্তব্য করেন নির্বাচনকালীন সরকারের এ মন্ত্রী।
(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/ এমডি/লতিফ/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)