দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : স্ব-শরীরে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ। একই সঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য দুই সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করেন।

আদালত ব্যক্তিগত হাজিরা হতে অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করব। আপনারা পরবর্তীতে আবেদন করলে অব্যাহতির বিষয়টি দেখব। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।

আদালত বলেন, ‘একই মামলায় জাফর উল্লাহ অনেক দিনের সময় প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু আপনি মাত্র দুই সপ্তাহ করলেন। সুতরাং একসঙ্গে যেহেতু শুনানি করতে হবে তাই মাহফুজহ উল্লাহর মামলার কার্যক্রম আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হলো।

মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। মাহফুজ উল্লাহর পক্ষে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা শুনানি করেন।

এদিকে দুপুরে আদালতে হাজির হতে সকালে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট (গ্রেফতারি পরোয়ানা) জারি করা হবে বলেও জানান আদালত।

গত ১ ডিসেম্বর মাহফুজ উল্লাহ স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার রুলের জবাব দিয়েছিলেন। ওই দিন পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল-১। গত ২৮ নভেম্বর তাকে হাজির হতে আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল-১। গত ২৬ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহকে তলব করেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয় বরাবর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বেসরকারি চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর কর্তৃপক্ষসহ ৮ জনকে বিবাদী করে অভিযোগ দাখিল করে।

প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, তুরিন আফরোজ, সুলতান মাহমুদ সীমন, তাপস কান্তি বল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও রেজিয়া সুলতানা চমন এ আবেদন দাখিল করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর ১১(৪) ধারা মোতাবেক কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে তাদের অভিযুক্ত করে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা করার আবেদন করা হয়।

আবেদনে বাকি বিবাদীরা হলেন, চ্যানেল ২৪ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী পরিচালক, হেড অব প্রোগ্রাম, মুক্তবাক নামক অনুষ্ঠানের প্রডিউসার এবং ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মাহমুদুর রহমান মান্না।

প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর চ্যানেলে ২৪ এর রাত ১১টার ‘মুক্তবাক’ নামক টকশোতে ট্রাইব্যুনালের বিচার বিষয়ে এই মন্তব্য করেন।

টকশোতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিচারপতি শামীম হাসনাইন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন তাকে দেওয়া হয়নি। তাহলে কি বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদবে না?’

এছাড়া টকশোতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাফাই সাক্ষীদের নিয়ে মন্তব্য করারও অভিযোগ করে প্রসিকিউশন।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমসি/লতিফ/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)