প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে কাদের সিদ্দিকী
‘একটি পয়সা খরচ করলে ফৌজদারি মামলা’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘যা পৃথিবীর মানুষ দেখেনি এবার তা আমরা দেখছি। নির্বাচনে আগে প্রতিদ্বন্দ্বীরা জিতে এমন নজীর পৃথিবীতে নেই। বিবাহের আগে সন্তান হলে তা নিয়ে সমাজে যেমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়, তেমনি নির্বাচন ছাড়াই ১৫৪ প্রার্থীকে পাস করিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটাও আর বৈধ নয়, অবৈধ সরকার। তাই আজ থেকে একটি পয়সা নির্বাচনের পেছনে যদি কমিশন খরচ করে তাহলে তাদের ফৌজদারি কেসে পড়তে হবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটরিয়ামে মঙ্গলবার বিকেলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি তাই হয়, তাহলে একটি পয়সাও খরচ করতে পারবেন না। এরশাদকে পটুয়া কামরুল হাসান বলেছেন বিশ্ব বেহায়া। নির্বাচন কমিশনকে বাংলাদেশের মানুষ কী বলবে জানি না। শতকার ৬০ ভাগ লোক যে নির্বাচনে ভোট দিতে পারে না। সেটা আবার কিসের নির্বাচন। এ তামাশা বন্ধ করুন।’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বাহানার নির্বাচন আর দরকার নেই। মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। এ টাকা এদেরকে দিয়ে দিন। সময় আরও আছে। ২৪ তারিখ পর্যন্ত ক্ষমতা আছে। যদি থাকতে মন চায় আপনার ২৪ তারিখ পর্যন্ত থাকুন। যদি মানুষের মতো থাকতে চান তাহলে পদত্যাগ করুন। বাংলাদেশে আপনার মতো বিড়ম্বনাকর মানুষ আর নেই। জল্লাদ ইয়াহিয়া আপনার মতো ছিলেন না, আপনি পদত্যাগ করুন। তা না হলে পরিণতি ভালো হবে না। আপনি পদত্যাগ করলে দেশের অবস্থা অর্ধেক ভালো হয়ে যাবে । আপনি দেশটাকে বাঁচান।’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাকে কি বাংলাদেশ লিখে দিতে হবে। বাংলার মানুষ বেঁচে থাকতে আপনাকে আর রাজা-রাণী হওয়ার সুযোগ দেবে না। দেওয়া হবে না।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী হলফনামায় ভুল তথ্য দিয়েছেন। তিনি এমপি হওয়া সত্ত্বেও হলফনামায় এমপি না লিখে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে তার পদত্যাগ করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ব্যর্থ। বিএনপি সব বিরোধী দলকে একত্রিত করতে পারেনি।’
সভা শেষে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পায়ের নিচে ১ লাখ ৪ হাজার অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর সবাই পালিয়েছিল। আমি পালাইনি। আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। দেশে ফিরে যখন দেখলাম এ আওয়ামী লীগ দিয়ে কাজ হবে না। তখন আমি আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে গরীব মানুষের দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেছিলাম।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ, মহাসচিব গোলাম মসীহ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এনডিএস/ডিসেম্বর ২৪,২০১৩)