আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় বিসিবি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ক্রিকেট নিয়ে রাজনীতি এদেশের উৎসবপ্রিয় বাঙালি কখনো চান না। তারা সব দলেরই খেলা দেখতে চান। সামনে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তার অনুকূলে নয়। এই বিবেচনার বাইরে বিসিবিও নয়। কারণ দেশীয় রাজনৈতিক হিংসতার সুযোগ খুঁজতে বিদেশিরা ওঁৎ পেতে রয়েছে। সঙ্গে দেশেও দালালের কমতি নেই। ফলে রাজনৈতিক কর্মসূচি যাই হোক, ক্রিকেটকে এর বাইরে রাখার সর্নিবন্ধ অনুরোধ জানিয়েছে বিসিবি।সব রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিনের (সিইও) কন্ঠেও এমনই সুর শোনা গেছে।
তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেটের আগামী ইভেন্ট সম্পর্কে আমরা বিরোধী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আগাম ঘোষণা আশা করছি। যে ক্রিকেট ইভেন্টগুলো আগামীতে বাংলাদেশে হবে, সেগুলো যেনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে রাখা হয়।’
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা দল। খেলবে টেস্ট, ওয়ানডে ও টোয়েন্টি২০ সিরিজ। এরপর দেশে ফেব্রুয়ারিতে এশিয়া কাপ, মার্চ-এপ্রিলে হবে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ। কিন্তু আদৌ বাংলাদেশে এসব টুর্নামেন্ট বা সিরিজ হবে কিনা; তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড, আইসিসি; এমনকি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সর্বশেষ ভারতের মিডিয়াও চড়াও হয়েছে, কলকাতা ও রাচি টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করতেও প্রস্তুত। এমন মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেই সহযোগিতা আসতে হবে। তা না হলে এ টুর্নামেন্ট ও সিরিজগুলো বাংলাদেশে হবে কিনা শেষপর্যন্ত সেই শঙ্কা থাকছেই।
এ নিয়ে সুজন বলেছেন, ‘আপনারা জানেন যে বোর্ড সভাপতি কয়েকদিন আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। আমাদের যে আসন্ন ইভেন্টগুলো রয়েছে এ ইভেন্টগুলো যাতে আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারি, সেক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা চেয়েছি। বোর্ড সভাপতি সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি, কর্মকান্ড থেকে ক্রিকেটকে দূরে রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ করেছেন। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করব।’
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও আইসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) গুরুত্বপূর্ণ সভা রয়েছে জানুয়ারিতে। এসিসির সভায় এশিয়া কাপ ও আইসিসির সভায় টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা হবে। এমন মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হওয়ার আশায় সবাই। বিসিবি যদিও সর্বোচ্চ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিদেশি দলগুলোকে দিয়েছে। আইসিসির সঙ্গেও সমন্বয় রক্ষা করছে। এরপরও সবকিছু আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর উপরই নির্ভর করে। রাজনৈতিক দলগুলো ক্রিকেটকে এসবের দূরে রাখার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলে তা বিদেশি দলগুলোও জানবে। তখন দেশে যে অবস্থাই বিরাজ করুক, বিদেশি দলগুলো অনিশ্চয়তায়, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না। এমনই মনে করছে বিসিবি।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এএস/সিজি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)