দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘ইতিহাসে এতোবড় চুরি কেউ করেনি যে চুরি বর্তমান সরকার করেছে। যারা এতো চুরি ও দুর্নীতি করলেন তাদের আপনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করিয়ে দিলেন, এটা আপনার বড় লজ্জা। প্রধানমন্ত্রী লজ্জা, লজ্জা লজ্জা।’

জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার বিকেলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, এই সরকার জনতা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকদের ভাষা বোঝে না। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারা এতোদিন দুর্নীতি করতে পারে তা জেনে আমরা লজ্জিত। যে নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করলে ৬ কোটি নয় ৬০০ কোটি টাকার মালিক হতে পারতাম এটা যে কতো লজ্জাকর তা তারা বোঝে না। তাদের কাছে লজ্জাও লজ্জিত।

বি. চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন, লজ্জাহীন। তারা কিভাবে বলে, বিদেশিরা না আসলেও নির্বাচন হবে। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক দরকার নেই।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ বলেন, ‘সরকারের দিন ফুরিয়ে গেছে। কবে যাবে এখন সেই মূহুর্তটি ঠিক হয়নি। সরকারের দেওয়া হলফনামা সরকারি দলের নেতাদের স্বঘোষিত দুর্নীতির খতিয়ানে পরিণত হয়েছে। এই খতিয়ান প্রমাণ করেছে, কি ধরনের দুর্নীতি সরকার করেছে। তারা ১০০ গুণ থেকে ৫৭০ গুন পর্যন্ত লুণ্ঠন করেছে।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব গোলাম মসীহ, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, মেজর (অব.) মান্নান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম গোলাম রেজা এমপি, এএমএম আলম, কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মীনি নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, আবুল মনসুর সিদ্দিকী আজাদ।

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এসবি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)