আহমদুল হাসান আসিক : ইমাম মাহাদীর প্রধান সেনাপতি দাবিদার লুৎফর রহমান ফারুকসহ গোপীবাগে ৬ হত্যাকাণ্ডের ৩ দিন পেরিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে ডিবির তিনটি টিম। এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। রহস্যও উদঘাটন সম্ভব হয়নি। এমনকি ‘এখনো বলার মতো কোনো অগ্রগতি নেই’বলে দ্য রিপোর্টকে জানালেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আলোচিত এ হত্যা রহস্যের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে মঙ্গলবার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবুল খায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দ্য রিপোর্টকে তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। গোয়েন্দা পুলিশ নিরলস কাজ করছে। তিনটি টিম মাঠে নেমে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো বলার মতো কোনো অগ্রগতি নেই। আমরা আশা করছি, আলোচিত এ খুনের রহস্য খুব শিগগিরই উন্মোচন হবে। খুনিদের গ্রেফতার করে আপনাদের সামনে হাজির করা হবে।’

পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধর্মীয় মতবিরোধের কারণে খুন করা হয়েছে ফারুককে। এর আগে ফারুককে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল ধর্মীয় মৌলবাদীরা। এ তথ্য ছাড়াও ডিবির হাতে আছে খুনের আলামত। ঘটনার পর কোনো আলামতই নষ্ট হতে দেয়নি পুলিশ। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে আলামত সংগ্রহ করে সিআইডি ক্রাইম সিন, র‌্যাব ও পুলিশ।

এরপর ডিবির তিনটি টিম মাঠে নামে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আালোচিত হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার ডিবি গ্রহণ করে সর্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত বিরোধ, ডাকাত সন্দেহ এবং ধর্মীয় মতবিরোধ-এ তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে কাজ করছে ডিবি।’

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কিছু বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিলিং মিশনে ৮ জন অংশ নেন। কিন্তু চেতনানাশক প্রয়োগ ছাড়া স্বাভাবিকভাবে ৬ জনকে ৮ জনের পক্ষে হত্যা করা অনেকটা দুঃসাধ্য। কিন্তু হত্যার পূর্বে তাদের কোনো চেতনানাশক প্রয়োগ করা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের পর বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করে মিশন সফল করেছে কিনা এটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় গোপীবাগের ৬৪/৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় কথিত পীর লুৎফর রহমান ফারুকের সঙ্গে তার ছেলে সারোয়ার ইসলাম, খাদেম মনজুর আলম, মুরিদ মুজিবুল সরকার, শাহীন ও রাসেলকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচএ/এনডিএস/নূরুল/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)