প্রার্থীদের সম্পদ প্রকাশ বন্ধের ‘অশুভ’ তৎপরতায় উদ্বেগ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রার্থীদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশ বন্ধের ‘অশুভ’ তৎপরতায় উদ্বেগ জানিয়েছে নয় বিশিষ্ট নাগরিক।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আইনের অপব্যাখ্যা ও ফাঁক-ফোকর দিয়ে যদি প্রার্থীদের সম্পদের তথ্য প্রকাশ বন্ধ করা হয় তবে নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা শুধু যে শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে তাই নয়, বরং প্রভাবশালী মহলের কাছে নতি স্বীকার করে গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায় সৃষ্টিকারীর দোষে কমিশনকে দোষী হতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতারা হলেন- আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নিজেরা করি-এর সমন্বয়ক খুশী কবীর, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এ- সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাষ্ট) অনারারী নির্বাহী পরিচালক ব্যারিষ্টার সারা হোসেন, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস্ বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক এরোমা দত্ত এবং টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত হলফনামার তথ্য অনুযায়ী মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের অনেকেরই অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতার সম্ভাবনা সৃষ্টি করে জনমনে বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, ঠিক তখনই প্রভাবশালী মহলের দাবিতে প্রার্থীদের সম্পদের তথ্য লুকানো এবং প্রকাশ বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের অশুভ তৎপরতা শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের এ অশুভ তৎপরতার সংবাদে আমরা বিস্মিত, ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ‘এটি সুস্পষ্ট যে, গত পাঁচ বছরে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের এই ব্যাপক সম্পদ আহরণ তাদের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিধায় তা সম্পূর্ণ বেআইনী ও সংবিধানের ২০ (২) ধারা অনুযায়ী অসাংবিধানিক।’ একই সঙ্গে সম্পদ বিবরণী প্রকাশের ফলে যেভাবে তারা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাতেই এরূপ সম্পদ আহরণের বৈধতা নিয়ে আরো বেশি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এআই/এসবি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)