প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা…’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা’ নিজ কণ্ঠে গাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বড়দিন উপলক্ষে গণভবনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আয়োজিত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী আগত অতিথিদের গানটি গেয়ে শোনান।
নির্বাচনকালীন সরকারের সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রমোদ মানকিনের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী গানটি গান। পরে তার সঙ্গে সুর মিলান আগত অতিথিরা।
প্রধানমন্ত্রী পরে সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। স্বাধীনতার মূল চেতানা- সবাই স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করবেন। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি। প্রত্যেক মানুষ শান্তি চায়। যুগে যুগে মহামানবরা শান্তির কথা বলে গেছেন। অথচ বিরোধী দলের নেতা একের পর এক হরতাল-অবরোধ দিয়ে যাচ্ছেন। অবরোধ পালনের জন্য মানুষের ওপর জোর-জবরদস্তি করছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলন হয় মানুষের কল্যাণে। কিন্তু বিরোধী দলের নেতার আন্দোলন মানুষ খুনের। তারা আন্দোলন করছে না, এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি ২০১১ সাল থেকে আলোচনার কথা বলে আসছি। পার্লামেন্টে আলোচনার কথা বলেছি উনাকে। আমি আলোচনার কথা বলি, আর উনি আমাকে আল্টিমেটাম দেন।’
খালি মাঠে গোল দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রমোদ মানকিন (সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী) মাঠে খেলতে নামলেন। তাকে দেখে খোলোয়াড়রা ভয়ে পালিয়ে গেলেন। উনি খালি মাঠে গোল দিয়ে আসলেন। তেমনি বিরোধী দলও ভয়ে নির্বাচনে আসলো না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন করিনি। এ সরকারের আমলে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোনও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করিনি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিরোধী দল জয় লাভ করলো। এরপরও তারা নির্বাচনে আসলো না।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি উনাকে বললাম ১/১১ এর অভিজ্ঞতা আমাদের দুজনেরই রয়েছে। বলেছিলাম, আসেন পার্লামেন্টে আসেন। আমরা দুজনে মিলে একটা পথ বের করি, কিন্তু উনি আসলেন না।’
খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, মহসচিব নির্মল রোজারিও, আর্চবিশপ প্যার্টিক ডি. রোজারিও সিএসসি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে বড়দিনে কেক কাটা হয়। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে গণভবনের হল রুমে প্রবেশ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেয়ে, রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির মেয়ে, পুতুলের তিন মেয়ে এবং জয় ও ববির স্ত্রী।
(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এমএআর/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)