খালেদা জিয়ার ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’
অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে দেশ সাময়িক স্বস্তি পেয়েছে। হরতাল-অবরোধে দীর্ঘদিন ধরে দেশব্যাপী যে জীবন ও সম্পদহানি চলছিল ক’দিনের জন্য হলেও খালেদা জিয়ার প্রেস কনফারেন্সে ঘোষিত কর্মসূচিতে তা থেকে একধরনের নিষ্কৃতি মিলল। হরতাল-অবরোধের পর আরো কঠোর কর্মসূচি আসছে বলে জনমনে ধারণা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া সে পথে না গিয়ে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাজনীতিকে রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীভূত করার কর্মসূচি দিয়েছেন। যা চলমান রাজনীতির জন্য ইঙ্গিতবাহী।
আমরা মনে করি, রাজনীতির লড়াই সারা দেশে চললেও রাজধানীকে নাড়া না দিলে তা কার্যকর কোনো পরিণতি পায় না এবং সে কর্মসূচিতে শুধুমাত্র দলীয় কর্মীরা অংশ নিলে তা জনগণের আন্দোলন হিসেবে পরিগণিত হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামে তার ভাষায় ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’য় সব দল-মত-পেশা-গোত্র-ধর্মের মানুষকে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধীদলীয় নেত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে যদি রাজধানীতে ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি ঘটে তাহলে সরকার শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের দাবির প্রতি সম্মান দেখাতে পারে বলে আশা করা যায়। আর যদি সরকার অগণতান্ত্রিক পন্থায় এই কর্মসূচিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে সে ক্ষেত্রেও জনমত বিরোধী দলের পক্ষে যাবে। সেক্ষেত্রে জনমতের চাপে ক্ষমতাসীনপক্ষ রাজনৈতিক সংকট সমাধানে উদ্যোগী হতে বাধ্য হবে বলে আমরা মনে করি।
এর ব্যত্যয় ঘটলে সংকট আরো গভীরভাবে দেশকে আচ্ছন্ন করবে। শান্তিকামী কোনো মানুষের পক্ষে যা কাম্য নয়।