চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : চট্টগ্রামে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে নগরীর তারকা হোটেলগুলোতে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামনে রেখে এবারের বড়দিনে দেশের শান্তি কামনায় গির্জায় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের গির্জা ও হোটেলগুলো বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী জাঁকজমকপূর্ণ রূপে সাজানো হয়েছে। গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে।

পাথরঘাটার জপমালা রাণী গির্জায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় প্রতীকী যিশুকে কোলে নিয়ে প্রার্থনা কক্ষে ঢোকেন গির্জার ফাদার লিওনার্দ রিবেরো। এ সময় যিশুর জন্মলগ্নকে স্মরণ করে ভক্তরা প্রার্থনা করেন।

এদিকে ক্রিসমাস ইভ উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন গির্জায় প্রার্থনায় জড়ো হন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন। প্রায় দুই হাজার বছরের বেশি আগে এমনই এক রাতে পৃথিবী আলোকিত করে বেথেলহেমের গোয়ালঘরে জন্ম নেন যিশুখ্রিস্ট। তার আবির্ভাবের আগের রাতকে বলা হয় ‘ক্রিসমাস ইভ’।

চট্টগ্রাম ক্যাথলিক ধর্ম প্রদেশের সচিব মানিক ডি কস্তা জানান, আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন পালিত হচ্ছে চট্টগ্রামে। দেশের কল্যাণ কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হচ্ছে গির্জায় গির্জায়।

বড়দিন উপলক্ষে হোটেল পেনিনসুলা, হোটেল আগ্রাবাদ ও ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সিয়াল হোটেলের লবি সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে। হোটেল পেনিনসুলায় আয়োজন করা হয়েছে লাইভ মিউজিক শো, স্পেশাল তাকির্শ বুফে। এ ছাড়া সান্তাক্রুজ তুলে দেবেন মজার মজার উপহার। এ ছাড়াও বড়দিন উপলক্ষে হোটেলটিতে বেশকিছু বিশেষ আয়োজন রয়েছে বলে জানান ব্যবস্থাপক মোসতাক লুহার।

তিনি জানান, বড়দিনে হোটেলে অবস্থানরত সকলকে দেওয়া হবে ক্রিসমাস কেক। এ ছাড়াও ২৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার্কিশ বুফের আয়োজন থাকবে।

ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সিয়ালের সহকারী ব্যবস্থাপক ফয়েজ বিন হাকিম জানান, বড়দিন উপলক্ষে ওয়েল পার্ক স্পেশাল ডিনারসহ ভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করেছে। সান্তাক্রুজ থাকবে শিশুদের হাতে উপহার তুলে দিতে। হোটেলে অবস্থানরত সকলকে দেওয়া হবে ক্রিসমাস কেক।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচএস/এআইএম/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৩)