কাজী জামশেদ নাজিম, দ্য রিপোর্ট : পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকতে হচ্ছে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার আড়ালে মূলত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে।

অন্তত রবিবার ‘মার্চ ফর ডেমক্রেসি’ কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে মুক্তভাবে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এ সময় ঢালাওভাবে তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরা দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন না বলেও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় এবং বাসভবন ঘিরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে রাজনৈতিক দল-কর্মীদের দেখা করার বিষয়ে বিশেষ নিদের্শনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়ার অফিস ও বাসার নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না। কত দিন নিরাপত্তা জোরদার থাকবে সে বিষয়ে সরকারের নির্দেশ আসতে হবে।’ তবে আগামী রবিবার পর্যন্ত এ নিরাপত্তা বলবৎ থাকতে পারে বলেও ধারণা করেন ওসি রফিকুল ইসলাম।

এদিকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে বুধবার খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। এতে অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে- অঘোষিতভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। বাসভবন ও অফিস কার্যালয়ের রাস্তার উভয় পাশে ব্যারিকেড দিয়ে যান ও জন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মিডিয়া কর্মী ছাড়া অন্য কাউকে ওই রোড দিয়ে যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না।

দুপুর ১টার দিকে চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে না পেরে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘সরকার নিরাপত্তার নামে বিরোধীদলীয় নেতাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমাকে চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।’ এতে তিনি পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হন। তবে পুলিশ এ সময় কিছুটা নমনীয় ছিল।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে রবিবার সারাদেশ থেকে জাতীয় পতাকা হাতে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’নামে ঢাকা চলো কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর পর মঙ্গলবার রাত সোয়া ২টায় তার বাসভবন ও কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/এনডিএস/নূরুল/ডিসেম্বর ২৫,২০১৩)