টাইম ইউজ সার্ভের প্রতিবেদন প্রকাশ বৃহস্পতিবার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রথমবারের মতো মানুষের সময় ব্যবহারের চিত্র প্রকাশ করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার। টাইম ইউজ সার্ভে নামের এই জরিপের প্রাথমিক ফলাফল আনুষ্ঠানিক মিডিয়ার সামনে তুলে ধরবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বাংলাদেশে এ ধরনের জরিপ এটিই প্রথম।
এ সার্ভের মাধ্যমে বের করা হয়েছে দেশের মানুষেরা কত ঘণ্টা কাজ করে, বিনোদন করে, টিভি দেখে, ঘুমিয়ে কাটায়, হাঁটাহাটি করে, বই পড়ে বা কত সময় অচপয় করে ইত্যাদি নানা বিষয়। এক কথায় পুরো সময়কে কিভাবে কাজে লাগানো হয় তার একটি প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে বলে জানা গেছে।
রাজধানীর আগারগাঁও এ অবস্থিত পরিসংখ্যান ভবনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যাবস্থাপনা সচিব নজিবুর রহমান। অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ম. হামিদ ও এ্যাকশন এইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর। সভাপতিত্ব করবেন বিবিএস-এর মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল।
পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে এ সার্ভের মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে দেশের ৬৪ জেলায় ৩৭৫টি প্রাইমারী স্যাম্পল ইউনিটে (এলাকায়) এ সার্ভের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।
প্রতিটি প্রাইমারী স্যাম্পল ইউনিটে (এলাকায়) ১০টি করে খানা (হাউজ হোল্ড) নির্বাচিত করে ওইসব খানার ১৫ বছরের উপরে সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইন্ডাস্ট্রি এন্ড লেবার উইং-এর পরিচালক শামসুল আলম দ্য রিপোর্টকে জানান, মূলত একজন মানুষের কাছ থেকে দুদিনের (৪৮ ঘণ্টার) তথ্য নেওয়া হয়। ওইদিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সে ব্যক্তি যা যা কাজ করবে তার একটি চিত্র নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তিনিটি ফর্ম ছিল। এর একটি ফর্মে তথ্য সংগ্রহকারী সেশন-১ এ নমুনা এলাকার পরিচিতির মধ্যে নয়টি তথ্য এবং সাক্ষাতের বিবিরণ সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে সেকশন-২ খানা বা বাসস্থানের বিবরণ, গৃহের মালিকানা খানায় প্রধান গৃহের প্রকার, আলোর উৎস, খাবার পানির প্রধান উৎস, রান্নার জ্বালানি, খানার নিজস্ব সম্পদ, খানাটি কিকি পারিবারিক কাজে জড়িত এবং খানার আয়-রোজগারের প্রধান কর্মকান্ড এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া সেকশন-৩ এ খানার বৈশিষ্ট অংশে খানার সদস্যদের নাম ও বিস্তারিত তথ্য, সম্পর্ক কোড ও শিক্ষা কোড পূরণ করা হয়। সেকশন-৪ এ ১৫ বছর ও তার উপরের মানুষদের বর্তমান কর্মতৎপরতার বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সময় ব্যবহারের বিষয়ে খানার নির্ধারিত মানুষদের টাইম ডায়েরি নামের দুটি করে ফরম দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর একটি প্রথমদিন ও অপরটি দ্বিতীয়দিন পূরণ করতে হয়েছিল। পরেরদিন তথ্য সংগ্রহকারী ওইসব ফরম সংগ্রহ করেন। কেউ লিখতে না পারলে তার ফরম তথ্য সংগ্রহকারী নিজেই পূরণ করে দিয়েছিলেন।
মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের পর সার্ভের টেবিল জেনারেট করা হয়। পরবর্তীতে যে ডাটা পাওয়া গিয়েছিল তা ক্রস চেক করে একটি খসড়া রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। এই খসড়া গেছে এডিটরিয়াল প্যানেলে, সেখান থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পাঠানো হয় টেকনিক্যাল কমিটিতে। সেখানে পরীক্ষার পর রিপোর্টটি ছাপানো হয়েছে বৃহস্পতিবার তা আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করা হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/জেজে/জেএম/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৩)