দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইরান শতকরা ৬০ ভাগ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ব্যাপারে একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। আর এ লক্ষ্যে বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে একটি খসড়া বিল উত্থাপন করা হয়েছে। ১০০ জন সংসদ সদস্য স্বাক্ষরিত বিলটির খসড়া পার্লামেন্ট স্পিকার ড. আলী লারিজানির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

দেশটির পার্লামেন্টের একজন সিনিয়র সংসদ সদস্য মেহদি মুসাভিনেজাদ বলেছেন, বিলটি পাস হলে পরমাণু স্থাপনায় শতকরা ৬০ ভাগ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সরকার বাধ্য থাকবে। ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা পুরনো নিষেধাজ্ঞা জোরদার করা হলে এ বিল অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার।

মুসাভিনেজাদ বলেন, এ বিলে আরাক ভারী পানির চুল্লিও চালু রাখতে বলা হয়েছে। গত মাসে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে ওই চুল্লির কাজ বন্ধ করার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, পরমাণুচালিত সাবমেরিনে ব্যবহার করার জন্য ৬০ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন হবে।

তবে কবে বা কখন এ বিষয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা হবে সেটি জানা যায়নি।

ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির মুখপাত্র হোসেইন তাঘাভি হোসেইনি বলেন, সরকার ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো বাড়তি সুবিধা দিতে পার্লামেন্টে এই বিল তোলা হয়েছে। যদি জেনেভা আলোচনা ব্যর্থ হয় তাহলে এই বিল ইরান সরকারের পরমাণু কর্মসূচির জন্য রক্ষাকবচ হবে।

মার্কিন কংগ্রেসে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা সংবলিত একটি বিল উত্থাপনের এক সপ্তাহ পর দেশটির সংসদ সদস্যরা এই পদক্ষেপ নিলেন। কংগ্রেসে উত্থাপিত ওই বিলে আগামী এক বছরের মধ্যে ইরানের তেল রফতানির সব পথ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির খনি, প্রকৌশল ও গৃহনির্মাণ খাতের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলা হয়েছে।

এর আগে নভেম্বরে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরান একটি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের এক ডজনেরও বেশি কোম্পানি এবং ব্যক্তিত্বের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবিভাগ ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে তেহরানের সঙ্গে লেনদেনের ব্যাপারেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে।

(দ্য রিপোর্ট/আদসি/এএস/শাহ/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)