দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বুধবার রাতে রাজধানীতে চালানো যৌথবাহিনীর অভিযানের ফলাফল প্রকাশে সময় চেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

অভিযানে আটকৃতদের সংখ্যা ও নাম এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন ডিএমপির মুখপাত্র ও যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বলেন, বিজিবি, র‌্যাব, ডিএমপি পুলিশ ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) সদস্যদের সমন্বয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা ও এর আশপাশের এলাকায় গত রাতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়েছে।

বিচারাধীন, তদন্তাধীন, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও হরতাল-অবরোধের সময় যানবাহনে অগ্নিসংযোগসহ ককটেল বিস্ফোরণকারীদের তালিকা তৈরি করে এসব অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, এসব অভিযানে অনেককেই আটক করা হয়েছে। আটকৃতদের সম্পর্কে তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে নিরীহ বা নিরপরাধ ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে কেবল তাদেরই গ্রেফতার দেখানো হবে। সেক্ষেত্রে অভিযানের আগে, পরে ও অভিযানের সময় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে।

মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতা ও রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরতেই এ অভিযান চালানো হচ্ছে।

বিশেষ করে ইংরেজি বর্ষবরণ (থার্টি ফাস্ট নাইট) অনুষ্ঠান ও ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে নাশকতা প্রতিরোধে এ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে বুধবার রাতের যৌথঅভিযানে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর, শনিরআখড়া, গুলশান, বনানী, বাংলামটর, জিগাতলা ও ধানমন্ডি এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়েছে। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর এলাকা থেকে অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য এলাকা থেকে ৮০ জনের বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ডিএমপির সূত্র জানায়, আটকৃতদের ৩৬ মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে, ক্যান্টনমেন্ট ও যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার পাশাপাশি বিভিন্ন থানায় রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে। যাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে তাদের ওই সময় মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে বলেও জানা গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন-এএইচএ-এনইউডি/এআইএম/এমডি/শাহ/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)