দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোঃ কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে আসামিপক্ষের প্রাথমিক শুনানি শেষ হয়েছে।

প্রাথমিক শুনানি শেষে পরবর্তি শুনানির জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেন।

শুনানিতে কায়সার মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কোনো বাহিনীর নেতৃত্ব দেননি বলে দাবি করেন তার জুনিয়র আইনজীবী রেজাউল করিম।

কায়সারের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ট্রাইব্যুনাল-১ এ অন্য একটি মামলায় ক্যামেরা ট্রায়ালে যাওয়ার কারণে জুনিয়র আইনজীবী শুনানি করেন।

কায়সারের পক্ষে অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করে তার আইনজীবী শুনানিতে বলেন, সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনে একাত্তরে মুসলিম লীগের সদস্য ছিলেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। তিনি কোনো দলের ছিলেন না। এ জন্য তিনি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।

রেজাউল করিম বলেন, প্রসিকিউশন কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, তিনি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ৫০০/৭০০ সদস্যের ‘কায়সার বাহিনীর’ নেতৃত্ব দিতেন। তা তখন কোনো পত্রিকায় আসেনি। তাই এ অভিযোগটিও সত্য না।

শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু ও প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত।

ট্রাইব্যুনালে রানা দাশ গুপ্ত মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৮টি অভিযোগ উপস্থাপন করেন।

গত ১১ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৮টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এরপর ১৪ নভেম্বর অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২১ মে কায়সারকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ৫ আগস্ট তাকে শর্ত স্বাপেক্ষে জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এআইএম/এমডি/রাসেল/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)