দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার ও সাবেক এমপি সাখাওয়াত হোসেন বকুলের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মারুফ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন।

আটক শাম্মী আক্তার ও সাখাওয়াত হোসেন বকুলের উপস্থিতিতে রিমান্ড আবেদন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বনানী থানার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়নু কবীর সংশ্লিষ্ট থানায় অগ্নিসংযোগের মামলায় শাম্মী আক্তারের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড চান।

অন্যদিকে, ভাটারা থানায় গাড়ি পোড়ানো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা একরামুল হক বকুলের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড চান।

শাম্মী আক্তার ও বকুলের আইনজীবীরা এই রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। আদালত শুনানি শেষে শাম্মী আক্তারকে পাঁচ দিন ও বকুলকে আট দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ বুধবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে শাম্মী আক্তার এমপিকে আটক করে। এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি ও সাবেক এমপি সাখাওয়াত হোসেন বকুলকে একই স্থান থেকে আটক করে পুলিশ। তবে পুলিশ ড. আর এ গণিকে আটকে না রেখে তার বাসায় পৌঁছে দেয়।

ওইদিন রাত ৯টার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে আবিদ আউয়ালসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।

এক মাস আগে খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে থেকে আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিনে যায়। তিনি এখনো কারাগরে আটক রয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/জে/এমএআর/নূরুল/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)