দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ করায় সাক্ষীর নাম ও সাক্ষ্যের তথ্যাবলী প্রকাশ করা যাবে না।

প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য মামলার কার্যক্রম রবিবার পর্যন্ত মূলতবি করা হয়।

বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে এ আদেশ দেন।

আদালতে আজহারের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আব্দুস সোবহান তরফদার এবং রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম মামলা পরিচালনা করেন।

এর আগে আজহারের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর ৬টি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত ৯ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের) দায় রয়েছে। অপরাধের মধ্যে রয়েছে গণহত্যা, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন, আটক, অপহরণ, গুরুতর জখম ও অগ্নিসংযোগ।

এসব অভিযোগের তদন্তকালে ৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ মামলাটি তদন্ত করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা (আইও) এসএম ইদ্রিস আলী। মামলায় সুনির্দিষ্ট ২৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

প্রসিকিউশনের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্তের স্বার্থে ১১ ফেব্রুয়ারি আজহারকে সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এক মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারস্থ নিজ বাসা থেকে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারকে গ্রেফতার করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এপি/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)