যশোর সংবাদদাতা : যশোর থেকে ঢাকা অভিমুখে যাত্রীবাহী বাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। দিন ও রাতের সব পরিবহনের টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচির প্রভাবে এমনটা হয়েছে।

পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, যশোর থেকে ঢাকা অভিমুখে প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহনের প্রায় দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়। গত দুদিন ধরে এ রুটের প্রায় সব পরিবহনেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।

সেলিম হোসেন নামের এক যাত্রী জানান, জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যাবার দরকার ছিল। অবরোধের কারণে এতদিন ঢাকায় যেতে পারিনি। আর অবরোধ উঠে যাবার পর এখন টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। গত দুদিন ধরে চেষ্টা করে তিনি পেছনের দিকে একটি টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছেন।

হানিফ পরিবহনের যশোর মণিহার কাউন্টারের কর্মী বিপ্লব হোসেন জানান, দিনে ও রাতে তাদের ঢাকার উদ্দেশে ৪০টি গাড়ি ছাড়ে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে স্বাভাবিকের তুলনায় চাপ বেড়ে গেছে। ফলে এখন গাড়ি অমিট থাকছে না।

একে ট্রাভেলসের কর্মী রানা রহমান জানান, তাদের দিনে ও রাতে ২২টি গাড়ি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গত দুদিন ধরে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আগেভাগেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

ঈগল পরিবহনের যশোর মণিহার কাউন্টারের ম্যানেজার উজ্জ্বল রায় জানান, তাদেরও প্রতিদিন যশোর থেকে ৪০টি গাড়ি ঢাকায় যায়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার তাদের অধিকাংশ গাড়ির টিকিট আগেভাগেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখনও চাপ আছে যা আরো দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

অতিরিক্ত চাপের কারণ কি জানতে চাইলে এসব পরিবহন কাউন্টারের কর্মীরা জানান, সামনে দুদিন ছুটি এবং অবরোধ উঠে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে। তবে ছুটিতে ঢাকামুখী চাপের কোন যৌক্তিকতা আছে কীনা জানতে চাইলে তারা জানান, বিএনপির আহূত কর্মসূচির কারণেও চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন।

তবে ট্রেনের উপর এ চাপ নেই বলে জানিয়েছেন যশোর জংশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার। সিডিউল মতো ট্রেন আসতে পারছে না বলে চাপ অনেক কম।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এমএআর/রাসেল/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)