যশোর সংবাদদাতা : জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাস্টার নূরুন্নবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে থানা পুলিশ ও ডিবির একটি টিম রেল রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে গত দুদিনে যশোরের বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০৬ জনকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে বিএনপির দুজন ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও বিরোধী দলের বেশ কয়েক নেতকর্মী রয়েছেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ১৮ দলীয় জোট। মিছিল থেকে ফেরার পথে শহরের রেল রোড এলাকায় থানা পুলিশ ও ডিবি তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়।

কোতোয়ালি থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জামায়াত সেক্রেটারিকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, নাশকতা সৃষ্টিতে অংশ নিতে পারেন এমন আশঙ্কা থেকে মাস্টার নূরুননবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট মামলার আসামি বলে জানান ওসি।

জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবদুর রশিদ বলেন, জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার যেভাবে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলা করতে চাইছে, মাস্টার নূরুননবীকে গ্রেফতারের ঘটনা তারই সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ। এ সবের পরিণাম ভালো হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে, জামায়াত সেক্রেটারি ছাড়াও গত দুদিনে যশোর জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে ১০৭ জনকে। জেলা পুলিশের মুখপাত্র এএসপি রেশমা শারমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মনিরামপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক ও খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনও রয়েছেন। এ দুই ইউপি চেয়ারম্যান মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির নেতা।

যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, বিশেষ অভিযানের নামে পুলিশ ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। এমনকি জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারাও পুলিশের টার্গেটে রয়েছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জামায়াতের সেক্রেটারি মাস্টার নূরুননবী, দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, রাজধানীমুখী গণতন্ত্র অভিযাত্রা ব্যাহত করতে সরকারের নির্দেশে এ দমন অভিযান চলছে। এভাবে শেষ রক্ষা হবে না বলেও মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট সাবু।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এমএআর/রাসেল/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)