দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সামনে এশিয়া কাপ; এর আগে বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে শ্রীলঙ্কা। মার্চ-এপ্রিলে হবে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ। এই ৩ ইভেন্টকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র সব আশা লুকিয়ে রয়েছে ২ পরিকল্পনাতে।

প্রথম পরিকল্পনা, দলগুলোকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা দেওয়া। যেন বিদেশি দলগুলো বাংলাদেশে খেলতে আসতে চায়, কোনো অনিশ্চয়তায় না ভোগে। দ্বিতীয় পরিকল্পনা, বিরোধী দলকে চিঠি দেওয়া। এতে যত কঠিন কর্মসূচিই দেওয়া হোক, ক্রিকেটকে তার আওতামুক্ত রাখার অনুরোধ জানানো হবে। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বিদেশি দলগুলো সন্তুষ্ট হলে এবং বিরোধী দল অনুরোধ রাখলেই সব আশা পূরণ হয়ে যাবে। নয়ত নিরাশ হতে হবে। তাই ২ পরিকল্পনা সফল হওয়ার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি।

এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে নিরাপত্তা বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিকল্পনা করব। এসিসি’র (৪ জানুয়ারি এশিয়া কাপ নিয়ে) সভায় তা পেশ করা হবে। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের কাছেও পাঠাবো। আমরা প্রধান বিরোধী দলের কাছেও চিঠি পাঠাবো। যেন ম্যাচের সময় কঠিন কোনো কর্মসূচি না দেওয়া হয়। কর্মসূচি দিলেও যেন ক্রিকেটকে এর আওতামুক্ত রাখা হয়। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় যদি বিদেশি দলগুলো আশ্বস্ত হয় এবং বিরোধী দল থেকে যদি আশ্বাস মিলে তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এই ২ পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছি আমরা।’

পাপনের মতো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হকও ২ পরিকল্পনার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। বলেছেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমি বাঙালি, বাংলাদেশি; আমি চাইব ম্যাচ এখানেই হোক। আমার যতটুকু আশ্বাস দেওয়ার (বিদেশি দলগুলোকে) নিশ্চয়ই দেব। আমি আশাবাদী এখানেই (বাংলাদেশ) হবে। আর না হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের এখন কর্তব্য বিদেশি দেশগুলোকে বোঝানো, আস্থা দেওয়া; এখানে আসলে কোনো অসুবিধা হবে না। বিসিবি সভাপতি যে পরিকল্পনার কথা বলেছেন তা সঠিকভাবে হলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/সিজি/রাসেল/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)