দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও রাজধানীতে আলোচিত ‘সিক্স মার্ডার’

তদন্তের অগ্রগতি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ধর্মীয় ‘উগ্রপন্থি’রা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত সংস্থা। এ জন্য সংস্থাটি তদন্তে ধর্মীয় বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (ডিবি) আবুল খায়ের বলেন, বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করছি। আশা করছি খুব শিগগির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গোপীবাগের ৬৪/৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় ‘কথিত’ পীরলুৎফর রহমান ফারুক, তার ছেলে সারোয়ার ইসলাম, খাদেম মনজুর আলম, মুরিদ মুজিবুল সরকার, শাহীন ও রাসেলকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ফারুক নিজেকে ইমাম মাহাদীর প্রধান সেনাপতি ও বিশ্বত্রাণকর্তা বলে দাবি করতেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আলোচিত সিক্স মার্ডার তদন্তে ধর্মীয় উগ্রপন্থিরা জড়িত থাকার বিষয়ে গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। এ কারণেই ধর্মীয় উগ্রপন্থি সংগঠনের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ধর্মীয় উগ্রপন্থি কয়েকটি সংগঠনকে টার্গেট করে তদন্ত কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। নতুন কয়েকটি বিষয় যোগ করে তদন্ত চলছে। ধর্মীয় মতপার্থক্য থাকার কারণে খুন হতে পারে বলেও ধারণা করছেন তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, এরইমধ্যে কয়েকটি ধর্মীয় উগ্রপন্থি সংগঠনের উপর নজরদারি শুরু করেছে গোয়েন্দারা। হিজবুল্লাহ, আল ইসলামিয়া, হুজি, জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ- এসব সংগঠনের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে হিজবুত তাহরীরের জবাই করে হত্যার ইতিহাস না থাকলেও খুনীদের বয়স বিবেচনায় তাদেরকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম বলেন, কিলিং মিশনে যে আটজন অংশ নিয়েছিল তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। এদের সবাই আধুনিক পোশাক পরে এসেছিল। একজনের মুখে দাড়ি আছে। যেহেতু হিজবুত তাহরীরের অধিকাংশ সদস্যের বয়স ১৮ থেকে ৩০, তারাও এই স্টাইলে খুন করতে পারে।

তিনি বলেন, এ ছাড়া অন্য কোন পীর ব্যবসায়িক কারণে তাকে খুন করেছে কি না সে বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর খুনীরা ভাড়াটে কি না এটিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/এইচএইচএ/এসবি/নূরুল/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)