১৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্ত
দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : জাতিসংঘ জানাচ্ছে ১৯৯৪ সালের পর বর্তমানে বিশ্ব সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তু সমস্যার মধ্যে পড়েছে। আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার অধিবাসী নিরাপদ জীবনের খোঁজে দেশ ছাড়ছে। ইন্দোনেশিয়া হয়ে ভারত মহাসাগরের বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিচ্ছে তারা।
যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে দূরদেশে পাড়ি জমান উদ্বাস্তুরা। হাজারো ঝুঁকি সত্ত্বেও দিন দিন বাড়ছে উদ্বাস্তুর সংখ্যা।
নতুন জীবনের সন্ধানে তারা পালাতে চায় যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দারিদ্র্য থেকে। উদ্বাস্তু সমস্যা একইসঙ্গে সৃষ্টি করছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা।
বিপুল সংখ্যার উদ্বাস্তু বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া ও আস্ট্রেলিয়ার জন্য প্রধান একটি রাজনৈতিক ইস্যু। ইন্দোনেশিয়া ১৯৫১ সালের ইউএন রিফিউজি কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তাই তারা কোন রিফিউজি গ্রহণ করে না।
অস্ট্রেলিয়া এতে স্বাক্ষরকারী দেশ। উদ্বাস্তুদেরকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিসমাস আইল্যান্ডে যেতে বিপদজনক নৌকাযাত্রায় স্মাগলারদের হাজার ডলার দিতে হয়।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো আশ্রিত ও উদ্বাস্তুর মধ্যে পার্থক্য করেছে। সেখানে তাদেরই আশ্রিত বলা হয় যারা উদ্বাস্তুর মর্যাদা পেতে আবেদন করেছেন। এইসব আশ্রয়প্রার্থীরা উদ্বাস্তু হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন না যদি না সদস্যরাষ্ট্র নিয়মানুসারে তাদেরকে উপযুক্ত বলে সিদ্ধান্ত দেয়।
২ কোটি ৬০ লাখের বেশি ব্যক্তি ২০০৯ সালের শেষ থেকে ইউএনএইচসিআর (ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার্স ফর রিফিউজিস) থেকে সাহায্য পেয়ে আসছে। এর মধ্যে এক কোটি ৪ লাখ উদ্বাস্তু। বাকি ১ কোটি ৫৬ লাখ হলো আন্তর্জাতিক স্থানচ্যুত ব্যক্তি (ইন্টারন্যাশনাল ডিসপ্লেসড পারসন বা আইডিপি)। ২০০৮ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ১০ লাখ বেশি।
২০০৯ সালের শেষ দিকে ইউএনএইচসিআর ৬০টি দেশের ৬৬ লাখ দেশহীন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে। কিন্তু তারা আরো বলেন এই সংখ্যা আরো বেশি। বিশ্বব্যাপী এই ধরণের লোকের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ।
নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশে পনের লাখ স্বীকৃত উদ্বাস্তু রয়েছে।
(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এমডি/অক্টোবর ২৭, ২০১৩)