কলকাতা প্রতিনিধি : গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে অবৈধ নজরদারির অভিযোগ তদন্তে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷

সম্প্রতি এক তরুণীর ওপর ফোনে নজরদারির অভিযোগ ওঠে গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে৷ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদির নির্দেশে এই নজরদারি করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে সমালোচনার মুখে তদন্তের নির্দেশ দেন নরেন্দ্র মোদি৷ কিন্তু, তাতেও বিতর্ক কমেনি৷ কংগ্রেস দাবি করেছে, মোদিকে বাঁচানোর জন্যই এই তদন্ত চালাচ্ছে গুজরাট সরকার। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে জানিয়ে দেন, নজরদারির ঘটনায় তদন্ত করবে কেন্দ্র৷ সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তে মত দিয়েছে মন্ত্রিসভা৷

ভারতীয় একটি নিউজ পোর্টাল নতুন করে কিছু টেপ প্রকাশ করে দাবি করেছে, নজরদারি শুধু গুজরাটেই সীমাবদ্ধ ছিল না। গুজরাট পুলিশ ওই তরুণীকে কর্ণাটকের পুলিশের নজরদারির আওতায় আনার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি পূরণ না হওয়ায় কর্ণাটক পুলিশ ওই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের মধ্যে কারও ফোনে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব৷ কিন্তু, সেই রাজ্যের বাইরে কারও ফোনে আড়িপাতার নির্দেশ দেওয়ার অধিকার তার নেই৷ সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের অনুমতি বাধ্যতামূলক৷

গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে থাকাকালীনও ওই তরুণীর ফোনে আড়িপাতা হয় এবং এর জন্য কেন্দ্রের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।

এদিকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বিজেপি৷

(দ্য রিপোর্ট/এসএম/এসকে/নূরুল/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)