পেঁয়াজ ও মুরগীর দাম কমেছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চলতি সপ্তাহে নিত্যপণ্যের দামে খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে কমেছে পেঁয়াজ ও মুরগী (ব্রয়লার) দাম। চাল ও সবজির দাম অপরিবর্তন রয়েছে।
এ ছাড়া ভোজ্য তেলের দাম প্রতি লিটারে ২ টাকা বাড়তে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর কয়েকটি বাজার শুক্রবার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। চালের দাম না কমার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, হরতাল-অবরোধের কারণে যে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে তা আর কমেনি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে কমেছে পেঁয়াজের দাম। কারওয়ান বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকা দরে ও দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে একই পেঁয়াজ রাজধানীর অন্য বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে উচ্চ দামে। সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে।
ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমা প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, আমদানি বাড়ার কারণেই ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে।
গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।
চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ১৪০ টাকা দরে।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের দুলাল হোসেন ও কারওয়ান বাজারের একজন মুরগী ব্যবসায়ী জানালেন, হরতাল-অবরোধের করণে মুরগীর দাম বেড়েছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে তার দাম কমেছে। অন্যান্য মাংসের মধ্যে গরু প্রতি কেজি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা দরে ও খাসি বাজারভেদে ৪২০ থেকে ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের মাংস ব্যবসায়ী খুরশীদ আলম জানালেন, মাংসের দাম খুব একটা কমেনি।
গত সপ্তাহে চালের যে দাম ছিল তা থেকে খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায়নি। মিনিকেট প্রতি কেজি চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা দরে। এ ছাড়া মোটা চাল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৫৭ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
চালের দাম না কমা প্রসঙ্গে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের রামগঞ্জ রাইস ষ্টোরের মালিক মোহাম্মদ সেলিম জানান, হরতাল-অবরোধের কারণে পরিবহন ভাড়া বেড়ে তিনগুন হয়েছিল। সে কারণে চালের দামও বেড়েছিল। এরপর চলতি সপ্তাহে চালের ওই দাম আর কমেনি।
কারওয়ান বাজারের ইসলাম ট্রেডার্সের শাহজাহান জানান, ভোজ্যতেলের দাম প্রতি লিটারে ২ টাকা বৃদ্ধি হতে পারে। চীনা আদা ও ফ্রেশ গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর কয়েকটি সবজীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে সবজির দামে তারতম্য রয়েছে। ফুলকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মরিচ প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা আর পুরাতন আলু ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ফুলকপি প্রতি পিস ২৫ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মরিচ প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী সবুজ আহম্মেদ জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির দাম খুব একটা বাড়েনি।
ওই বাজারে সবজির ক্রেতা মোহাম্মদ রকিবও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, এখন সবজির দাম একটু কম বলেই বোধ হচ্ছে। তাই একটু বেশী করেই সবজি কিনছি।
তবে ভিন্ন কথা জানিয়ে ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান বললেন, এই সময়টা ব্যবসায়ের জন্য একটু মন্দা যাচ্ছে।
অন্যান্য নিত্যপণ্যের মধ্যে ডিম প্রতি হালি ২৮ টাকা ও চীনা আদা প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
(দ্য রিপোর্ট/এএইচএস/এসবি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩)