দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিচার বিভাগের সম্মানহানী হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে দেশের সকল বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। একই সঙ্গে দীর্ঘদিনের মামলার জট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতেও বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সড়ক ভবন থেকে পাওয়া নতুন সুপ্রিম কোর্ট এনেক্স মিলনায়তনে শুক্রবার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা জজদের বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সভায় সারাদেশ থেকে আগত প্রায় ১৭০ সেশান ও জেলা জজ অংশ নেন।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, বিচার কাজে অহেতুক দীর্ঘসূত্রিতা বিচারপ্রার্থীদের মনে বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিরূপ ধারণার জন্ম দেয়।

‘বিচার বিভাগের সুসংবাদ আমাকে যেমন আনন্দিত করে, আবার দুঃসংবাদও আমাকে ব্যথিত করে’- জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাগণের কতিপয় ঘটনা আমাকে বিচলিত করেছে। এ সব ঘটনা যাতে পুনারাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে বিচারকদের সজাগ থাকতে হবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, কতিপয় বিচারকদের বিচার কাজসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ আসে। এ সব অভিযোগ সবই যে ভিত্তিহীন তা বলার অবকাশ নেই। আন্তরিকতা, সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে বিচার বিভাগ মর্যাদার আসনে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি তার ভাষণে আরো বলেন, মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিচারপ্রার্থীরা মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকেন। আদালত, প্রশাসন এবং বিচারকার্যের মধ্যে সমন্বয় অপরিহার্য। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া মামলা মুলতবি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আইনজীবীদেরকেও এ বিষয়ে আদালতকে সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিচার বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারকের পদোন্নতি প্রদান করেছি। সম্প্রতি অতিরিক্ত জেলা জজ পদ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সুষ্ঠু বিচারে বার ও বেঞ্চ পরস্পর অবিচ্ছেদ্য অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় বারের ভূমিকা অপরিহার্য। বারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু, ন্যায় বিচার প্রদান করা সম্ভব নয়। তাই বারের সদস্যদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩)