মিঠুনের হ্যাটট্রিকে জয়ী শেখ রাসেল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের জয় দিয়ে পর্দা উঠেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ সপ্তম আসরের। শুক্রবার মিঠুন চৌধুরীর হ্যাটট্রিকে ট্রেবল জয়ীরা ৪-০ গোলে হারিয়েছে নবাগত উত্তর বারিধারা ক্লাবকে।
পৌষের হাড় কাঁপানো শীত; এক চিলতে রোদের অভাব বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছিলো। বরং ঘন কুয়াশায় ঢাকা বিকেলে বারিধারাকে নিয়ে নিজেদের মতো খেলেছে শেখ রাসেল। সঙ্গে গা গরম করে নেয়ার সুযোগ প্রতিমূহুর্তে কাজে লাগিয়েছে ব্লুজ শিবিরের ফুটবলরাররা। শুরু থেকেই ফেভারিটদের আক্রমণে কোনঠাসা ছিল নতুন দলটি। প্রতিপক্ষকে রুখে দিয়ে এক পয়েন্ট টার্গেট ছিল বারিধারার। এ লক্ষ্য পূরণে ডিফেন্স আগলে রেখে ৪-৩-২-১ ফরমেটে খেলেছে তারা। কিন্তু সেই কৌশল কাজে লাগেনি তাদের। উল্টো অভিজ্ঞ কোচ মারুফুল হকের আক্রমণাত্মক কৌশলের সামনে ভেঙে পড়েছে বারিধারার রক্ষণব্যুহ।
অবশ্য ৩৪ মিনিট পর্যন্ত আটকে ছিল শেখ রাসেল। ওই সময় উগান্ডার মিডফিল্ডার ফ্রান্সিসকোর ফ্রিকিক থেকে জটলায় বল পেয়েছেন মিঠুন। বল জালে জড়াতে ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড (১-০)। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সবুজ কুমার বিশ্বাসের পাসে এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক ওসমান গণিকে কাটিয়ে দলের দ্বিতীয় গোলটিও করেছেন মিঠুন চৌধুরী (২-০)।
বিরতির পরও গোল ক্ষুধা কমেনি ফেভারিটদের। ৪৭ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে মিঠুনের বাড়ানো বল নিয়ে পোস্টে ঢুকে পড়েছেন জ্যামাইকান মিডফিল্ডার রিকার্ডো কাজিন্স। একটু সময় নিয়ে ডান পা-বাঁ পা করে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়েছেন এ বিদেশি। ৬৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন মিঠুন। গোলের যোগানদাতা কসোকো।
শেখ রাসেলের ফুটবলাররা আরো ভালো খেলার সামর্থ্য রাখে বলে ম্যাচ শেষে মন্তব্য করেছেন কোচ মারুফুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আরো একটু ভালো খেলা আশা করেছিলাম ছেলেদের কাছ থেকে। তাদের সামর্থ্য রয়েছে। ৩-৩-১-৩ কৌশলে খেলেছে ছেলেরা। এটা কাজে লেগেছে। গোলের জন্য তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করেছিলাম। তাই চাপমুক্ত খেলতে পেরেছে ছেলেরা।’
অন্যদিকে হারলেও দলের পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট নন উত্তর বারিধারার সহকারি কোচ মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘অনুশীলনের ঘাটতি ছিল আমাদের। শেখ রাসেল শক্তির বিচারে আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। তারপরও ছেলেরা ভালো খেলেছে।’
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/এএস/রাসেল/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩)