‘ঢাকায় আগতদের পরিণাম হবে হেফাজতীদের মতো’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নির্বাচনকালীন সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, হেফাজতীরা যেমন করে লেজগুটিয়ে পালিয়েছিল ২৯ তারিখে যারা ঢাকায় আসবে তাদের পরিণামও একই হবে।
রাজধানীর তোপখানা রোডে শুক্রবার বিকেলে শহীদ রাসেল মঞ্চে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। ‘মহান বিজয় দিবস ও তরুণ সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ছাত্রমৈত্রী ও যুবমৈত্রী।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বাইরে সন্ত্রাস করে যারা সুবিধা করতে পারেনি তাদেরকে ঢাকায় এনে জড়ো করার পাঁয়তারা চলছে।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের পাশাপাশি সুশীল সমাজ এমনকি বামপন্থীদের অনেকে নিন্দার ঝড় তুলেছে। দেশে কিভাবে শূন্যতা সৃষ্টি করা যায় তার মহোৎসব চলছে।
মেনন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রশ্নকে ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে। সমস্ত প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী আজ এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। বিদেশী মদদে পুরনো পাকিস্তানি ধারায় দেশকে ফিরিয়ে দিতে মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজ বানচালের জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৮ দলের মধ্যে যে দলটি সন্ত্রাস করছে তারা জাতীয় পতাকা নিযে আসলে দেশবাসী তাতে আপত্তি করবে। তাদের হাতে পতাকা তুলে দিলে জাতীয় পতাকার অসম্মান হবে। জাতীয় পতাকার সম্মান আমাদেরকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমেদ বকুল বলেন, দেশের সুশীল সমাজ দেশের অস্তিত্বের সংকটকে এড়িয়ে নির্বাচনকে বড় করে দেখে গণতন্ত্র গেল গেল বলে চিৎকার করছেন।
ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি দিপঙ্কর সাহা দিপু বলেন, দেশে ৭১ এর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আবার হাজির হয়েছে। গণহত্যার বিচারের বিরুদ্ধে ওরা এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। ৭১ এর বিজয়কে ওরা রুখে দিতে চায়।
যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাব্বাহ আলী খান বলেন, জামায়াতকে সঙ্গে নিযে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া যাবেনা।
ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানভির রুসমত, সাহিন হোসেন।
সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এম/ এসবি/নূরুল/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩)